বুধবার দুপুরে নরসিংদী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ শামীম আহাম্মদ এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সজিব খান (২২), শাকিল মিয়া (১৮), ইমরান (২০), শামীম উসমান (১৯), রুবেল মিয়া (১৮)।
এদের মধ্যে ইমরান পলাতক রয়েছে বলে জানান আদালতের বিশেষ পিপি পিপি রীনা দেবনাথ।
একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, ২০১৩ সালের ২৬ মে সন্ধ্যায় বাসার সামনে খেলার সময় অয়ন অপহৃত হয়। পরের দিন অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
“এ ব্যাপারে অয়নের বাবা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন । ফোনের সূত্র ধরে চার আসামিকে আটক করে পুলিশ।”
আটককৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপহরণের তিন দিন পর ঘোড়াশালের শীতলক্ষ্যা নদীর শহীদ ময়েজউদ্দীন সেতুর নিচ থেকে অয়নের বাক্সবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
পরে তদন্ত শেষে পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামের ব্যবসায়ী সোহরাব মিয়ার ছেলে অয়ন ব্রাহ্মণদি কে কে এম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।