সাগর বর্মণ নামের দশ বছর বয়সী ওই শিশুর বাবা রতন বর্মণ রোববার রাত ১২টার দিকে রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন বলে সহকারী পুলিশ সুপার ফোরকান সিকদার জানান।
আসামিরা হলেন - জোবেদা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) নাজমুল হুদা (২৪), ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) হারুনর রশীদ (৪৮), জ্যেষ্ঠ উৎপাদন কর্মকর্তা আজহার ইমাম ওরফে সোহেল (৩৬) ও সহকারী উৎপাদন ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম (৪০)।
এদের মধ্যে নাজমুল হুদাকে রোববার রাতেই আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসিম উদ্দিন জানান, মামলায় নিহত সাগরের বাবা অভিযোগ করেছেন, ওই কারখানায় কর্মরত সব শিশু শ্রমিককেই নানা অজুহাতে সময়-অসময় মারধর করা হত।
“সাগর এর প্রতিবাদ করত বলে তার প্রতি কর্মকর্তাদের ক্ষোভ ছিল। এ কারণে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।”
রোববার দুপুরে কারখানার অন্য শ্রমিকরা মিলের একটি পাম্প থেকে সাগরের মলদ্বার দিয়ে বাতাস দিলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে বিকাল ৪টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
সাগরের বাবা রতন বর্মণও ওই কারখানার শ্রমিক। আর মা লাবণ্য বর্মণ গৃহিণী। সাগর দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট। পরিবারটি রূপগঞ্জ উপজেলার দিঘি বরাব এলাকার সাত্তার মেম্বরের বাড়ির ভাড়া বাসায় থাকে। রতন বর্মণের পৈতৃক বাড়ি নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার রাজিবপুর গ্রামে।
খুলনায় মলদ্বার দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু রাকিবকে হত্যার এক বছরের মধ্যে এ ঘটনা ঘটল। গত বছর ৪ অগাস্ট রাকিব হত্যামামলায় ওই বছর ৮ নভেম্বর দুই জনের ফাঁসির রায় হয়েছে।