বুধবার কিশোরগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম আব্দুস সালাম খান এ নির্দেশ দেন বলে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুর্শেদ জামান জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটি একটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সব কিছু করা হবে। প্রয়োজনে আসামিকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হবে।”
এর আগে আহত অবস্থায় আটক আরেক জঙ্গি শরীফুল ইসলাম ওরফে শফীউল ইসলাম ওরফে সাইফুল ইসলামের রক্ত ও শরীরের বিভিন্ন অংশের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ।
গত ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন সকালে শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের আড়াইশ মিটারের মধ্যে এক পুলিশ চেকপোস্টে কয়েকজন হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটালে দুই পুলিশ নিহত হন।
এরপর গোলাগুলি শুরু হলে এক হামলাকারী আবির নিহত হন; পরে পুলিশ ও হামলাকারীদের গোলাগুলিতে এক গৃহবধূর মুত্যু হয়। ওই ঘটনায় জাহিদুল পুলিশের হাতে ও সাইফুল র্যাবের হাতে আটক হন।
সাইফুল দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের আব্দুল হাইয়ের এবং জাহিদুল কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম তারাপাশার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
ঘটনার তিন দিন পর ১০ জুলাই পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সামছুদ্দিন বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। আক্রান্ত চেকপোস্টের প্রধান ছিলেন তিনি।
মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে বলে ওসি মোশারফ জানান।