‘বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে’ আহত মাদ্রাসা ছাত্র আটক

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বসতঘরে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে এক মাদ্রাসা ছাত্রের হাতের আঙ্গুল উড়ে যাওয়ার খবরের তিনদিন পর আহত অবস্থায় সেই ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2016, 07:37 PM
Updated : 18 July 2016, 08:07 PM

গ্রেপ্তার রজব আলী (১৭) উপজেলার ফুলবাড়ী চা বাগানের ১ নম্বর বস্তির বাসিন্দা চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু মিয়া ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দৌলতকান্দির একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

সোমবার বিকালে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রজবকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর ফুলবাড়ী চা বাগানের ১ নম্বর বস্তির ঘরে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে রজবের হাতের আঙ্গুল উড়ে যায় পরদিন শনিবার স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন।

ওই সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি শুনেছে বললেও বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয়রা বলছেন, বিস্ফোরণের পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে এলাকাবাসীকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটেছে দাবি করে আহত রজবকে চিকিৎসার জন্য গোপনে সিলেটে নিয়ে যান তার বাবা চাঁন মিয়া। এ কারণে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশ ও গণমাধ্যমের নজরে আসেনি।

বাগানের চা শ্রমিক খলিল মিয়া বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর চাঁন মিয়ার ঘরে তার ছেলে রজব হাত বোমা বানাচ্ছিল। আকস্মিকভাবে একটি বোমা বিস্ফোরিত হলে তার হাতের দুটি আঙ্গুল উড়ে যায়।

“ঘটনায় ফুলবাড়ি চা বাগান বস্তিতে আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও তার বাবা চাঁন মিয়া অতিগোপনে আহত ছেলেকে চিকিৎিসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।”

রোববার ফুলবাড়ি চা বাগানের সুফিয়া বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ ঘটে। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম, হয়ত কোনো বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের বিষ্ফোরণ হয়েছে। পরে জেনেছি চাঁন মিয়ার ঘরে এ ঘটনা ঘটেছে।”

মাটির দেয়ালের টিন শেডের ঘরে ওই বিস্ফোরণের আলামত নষ্ট করতে সেখানে নতুন করে মাটি দিয়ে লেপে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।

বিস্ফোরণের খবর পেয়ে মৌলভীবাজার সদর সার্কেল এএসপিকে বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঠানো হয় জানিয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল বলেন, “তদন্তকালীন সময়ে কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় আহত অবস্থায়ই রজবকে আটক করা হয়।

তবে পূর্ণ তদন্তে সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।