আলোচনার মধ্যে ‘পিস স্কুল’ হয়ে গেল ‘লিজেন্ড একাডেমী’

‘জামায়াতপন্থি’দের পরিচালিত রাজশাহী নগরীর ‘পিস স্কুল এন্ড কলেজের’ নামফলক বদলে ‘লিজেন্ড একাডেমী’ করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আগের নামই রয়েছে। 

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2016, 10:28 AM
Updated : 8 August 2016, 11:03 AM

শুক্রবার রাতে প্রতিষ্ঠানটির সাইনবোর্ড বদলে ফেলা হয় বলে জানান মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও রাজপাড়া থানা জোনের সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম।

প্রতিষ্ঠানটির কাজকর্মের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

ভারতের বিতর্কিত ইসলামী বক্তা জাকির নায়েকের পিস টিভি বাংলাদেশে বন্ধের পরপরই পিস মোবাইল আমদানি বন্ধের প্রক্রিয়ার কথা জানায় সরকার। এরপর পিস স্কুলের খোঁজের ঘোষণার মধ্যে এ নাম পরিবর্তনের ঘটনা ঘটল।

রোববার সরজমিনে নগরীর রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়ার গাজী ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের দোতালায় যে বড় সাইনবোর্ডে ‘পীস স্কুল এন্ড কলেজ’ লেখা ছিল সেখানে এখন ছোট একটি ব্যানারে লেখা ‘লিজেন্ড একাডেমী’।

ওই ভবনের এক ও চারতালায় এবং পাশের একটি ভবনে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের বহন করা ভ্যানের ‘পীস স্কুল এন্ড কলেজ’ নামটিও মুছে ফেলা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র, ব্যাগ ও পোশাকের মনোগ্রামে এখনও ‘পীস স্কুল এন্ড কলেজ’ নামটি আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, সকালে সন্তানকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিতে এসে তারা সাইনবোর্ড পরিবর্তনের বিষয়টি খেয়াল করেন।

এর অধ্যক্ষ আতাউর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

একজন শিক্ষক নাম না জানিয়ে বলেন, অধ্যক্ষ কয়েক দিন ধরে কলেজে আসছেন না। তার মোবাইল ফোনও কয়েক দিন ধরে বন্ধ বলে জানান তিনি।

নাম পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি সকালে আসার পর পরিবর্তনের বিষয়টি খেয়াল করেন। কারণ জানেন না বলে তার দাবি।

একই ভবনের দোতালায় থাকা ‘গ্যালাক্সি মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেইনিং স্কুলের’ পরিচালক সাজেদুর রহমান খোকন বলেন, হঠাৎ সাইনবোর্ড পরিবর্তনের বিষয়টি তিনি খেয়াল করেছেন।

জামায়াত ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু লোক প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি বলেন, “ইসলামী ব্যাংক রাজশাহী শাখার কর্মকর্তা মোর্সেদ জামান স্কুলটি দেখভাল করেন। এর অধ্যক্ষ আতাউর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা এবং জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।”

পুলিশ কর্মকর্তা ইফতে খায়ের আলম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কিছু লোকজন পীস স্কুল এন্ড কলেজের সঙ্গে জড়িত। তারাই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রণ করেন। পুলিশ প্রতিষ্ঠানটির উপর নজর রাখছে।