নেত্রকোণায় মাদ্রাসা ছাত্রসহ ৩ জন নিখোঁজ

নেত্রকোণায় সোয়া এক বছরের মধ্যে দুই মাদ্রাসাছাত্রসহ তিন জন নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের সন্ধান চেয়ে থানায় জিডি করেছেন পরিবারের সদস্য ও এক মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2016, 08:04 AM
Updated : 18 July 2016, 08:20 AM

এরা হলেন ওয়াসিম মিয়া (২০), দুই মাদ্রাসা ছাত্র আবদুল্লাহ আল-বাকী (১৩) ও আল-আমিন (১২)।

নেত্রকোণার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রামাণিক বলেন, দুই নিখোঁজের পরিবার এবং একটি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নেত্রকোণা সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।  

তাদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

নিখোঁজ আব্দুল্লাহ আল বাকী জেলা শহরের কুড়পাড় এলাকার ভূঁইয়াবাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। তিনি শহরের পূর্বকাটলী এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে।

সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আব্দুস সাত্তার গাজীপুরে শিমুলতলী ডিজেল প্ল্যান্টে কর্মরত আছেন।

আব্দুস সাত্তার বলেন, মাদ্রাসায় ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করত বাকী। ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সে বাড়ি আসে। পরদিন সকাল ১০টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ।

পরদিন (২৮ ডিসেম্বর) সদর মডেল থানায় জিডি করেন বলে জানান তিনি।

সাত্তার আরও বলেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার ছেলের পরনে সাদা পাঞ্জাবি ও পাজামা ছিল। তার খোঁজে তিনি পোস্টার ও লিফলেট বিলিসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়েছেন।

অপর মাদ্রাসাছাত্র আল-আমিন গাজীপুর জেলার টঙ্গির আইয়ূব আলীর ছেলে।

তিনি নেত্রকোণা শহরের নাগড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।

গত বছরের ৯ মার্চ ওই মাদ্রাসা থেকে তিনি নিখোঁজ হন বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের করা জিডিতে উল্লেখ করা হয়।

পরদিন জিডিটি করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।   

অপর নিখোঁজ যুবক ওয়াসিম মিয়া নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার ধোবা-হোগলা গ্রামের মো. আব্দুল গণির ছেলে।

গত ৪ এপ্রিল ওয়াসিম নিখোঁজ হন। এর এক সপ্তাহ পর ১২ এপ্রিল তার বাবা আব্দুল গণি সদর মডেল থানায় জিডি করেন।

জিডিতে বলা হয়, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করা ওয়াসিম ওমান যাওয়ার প্রস্তুতির জন্য ঢাকা যাওয়ার কথা বলে এ বছরের ৪ এপ্রিল বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি।

পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।