শিক্ষক শ্যামল কান্তির ঘুষের মামলা তদন্তের নির্দেশ

ইসলাম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে নির্যাতনের শিকার নারায়ণগঞ্জের স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে করা মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2016, 01:23 PM
Updated : 16 July 2016, 03:30 PM

শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বিচারিক হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফ আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বন্দর থানার পরিদর্শককে (তদন্ত) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, শিক্ষার্থী রিফাতকে মারধর ও এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে একই আদালতে তিনটি মামলার আবেদন করা হয়।

কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার পর শ্রেণিকক্ষে যান শ্যামল কান্তি ভক্ত

আদালত ওই দিন বিকেলে শুনানি শেষে বন্দর উপজেলার কল্যান্দী এলাকার সামসুল হক সামছুর বাদী হয়ে করা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ এবং শিক্ষার্থী রিফাতকে মারধরের অভিযোগে তার মা রিনা বেগমের দায়ের অভিযোগ খারিজ করে দেয়।

আর বন্দর উপজেলার কল্যান্দি এলাকায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের করা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ শুনানির জন্য শনিবার দিন রাখে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এস এম সিদ্দিকুর রহমান জানান, মোর্শেদা বেগমকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শ্যামল কান্তি ভক্ত দুই দফায় এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন।  কিন্তু তাকে এমপিওভুক্ত করতে তিনি কোনো সহায়তা করেন নি।

গত মে মাসে বন্দর উপজেলার কল্যান্দী এলাকার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামলকে নির্যাতনের খবর প্রকাশ হওয়ার পর সারাদেশে আলোচনার ঝড় রয়ে যায়। তাকে কান ধরিয়ে উঠবস করানোয় সমালোচনায় পড়েন স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানও।

গত ১৩ মে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে শারীরিক নির্যাতনের পর কান ধরিয়ে উঠবস করানো হয় সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে।

তুমুল আলোচনা এবং প্রশাসনের পদক্ষেপের পর শ্যামল কান্তি ভক্তকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে সাত দিন চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গত ৯ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পুলিশ প্রহরায় তাকে নগরীর নগর খানপুরের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। গত রোববার সকালে খানপুরের ভাড়া বাড়ি থেকে সদর মডেল থানা পুলিশের প্রহরায় তিনি স্কুলে যান।