বাহাই নেতাকে গুলি: অভিযোগপত্রে কুনিও-খাদেম হত্যার আসামি

রংপুরে বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা রুহুল আমীনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ছয় ‘জেএমবি’ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ, যাদের মধ্যে পাঁচজনই জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ও মাজারের খাদেম হত্যা মামলার আসামি।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2016, 10:18 AM
Updated : 12 July 2016, 11:14 AM

বারো দিন আগে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) হোসেন আলী মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গত ৩০ জুন জেএমবির ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এদের মধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার ও অন্যদের পলাতক দেখানো হয়েছে।

আসামিরা হলেন- মাসুদ রানা (৩৩), রংপুরের পীরগাছার বাসিন্দা ইছাহাক আলী (৩৪), কুড়িগ্রামের রাজারহাটের সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল (২১), আহসান উল্লাহ আনসারী (৩১), লালমনিরহাটের বানভাসার মোসাব্বিরুল আলম খন্দকার ওরফে রিপন ওরফে প্রিন্স (২২) ও পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক নজরুল ওরফে হাসান (২৬)।

এদের মধ্যে মাসুদ রানা ও ইছাহাক আলী (৩৪) কারাগারে রয়েছেন।

মাসুদ রানা জেএমবির রংপুরের আঞ্চলিক কমান্ডার বলে এসআই হোসেন আলী জানান।

এছাড়া মাসুদ, ইছাহাক, সাদ্দাম, নজরুল ও আহসান উল্লাহ জাপানি কুনিও হোশি ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি বলে জানান তিনি।

কুনিও হত্যা মামলায় ‘জেএমবির’ আট এবং খাদেম হত্যায় ‘জেএমবির’ ১৪ সদস্যকে আসামি করে গত ৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, গত ৮ নভেম্বর সকালে রংপুর নগরীর আর কে রোড এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে বাহাই সম্প্রদায়ের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ও রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রুহুল আমীনকে মাসুদ রানা, ইছাহাক ও মোসাব্বিরুল একই মোটরসাইকেলে করে এসে দুটি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান। একটি গুলি রুহুলের বুকে ও অন্যটি বাম পায়ে লাগে।

বর্তমানে সুস্থ হলেও বুকে বিদ্ধ গুলিটি বের করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন রুহুল আমীন।

এ ঘটনায় রুহুলের স্ত্রী সাইফুন নাহার বাদী হয়ে কোতোয়ারি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করলেও কাউকে আসামি করেননি।

তবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান নয়ন (৩২), সাধারণ সম্পাদকের ছেলে সজল (২৫) ও সাবেক সম্পাদকের ভাই আবু রায়হানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আশিকুর, সজল ও আবু রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হলেও তদন্তে তাদের জড়িত থাকার কোনো তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় অভিযোগপত্রে তাদের আসামি করা হয়নি।