এক সপ্তাহ আগে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও রোববার রাতে রংপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী সাংবাদিকদের জানান, গত ৩ জুলাই জেএমবির আট সদস্যের বিরুদ্ধে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা (৩৩), সদস্য ইছাহাক আলী (৩৪), লিটন মিয়া (৩২), আবু সাঈদ (২৮), সাদ্দাম হোসেন (৩২), আহসান উল্লাহ আনসারী (৩১), নজরুল ইসলাম (৩২) ও সাখাওয়াত হোসেন (৩০)।
এরমধ্যে প্রথম তিজনের বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার টাঙ্গাইলপাড়া, আবু সাঈদের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী, সাদ্দাম হোসেনের ও আহসান উল্লাহ আনসারীর বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট, নজরুলের বাড়ি গঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ এবং সাখাওয়াতের বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায়।
মামলার এই তদন্ত কর্মকর্তা জানান, গত ৩ অক্টোবর সকালে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি করেন জেএমবির আঞ্চলিক কমাণ্ডার মাসুদ রানা। মোটরসাইকেলে তারা তিনজন ছিলেন। গুলি করার পর মোটরসাইকেলে করে তারা পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৬৬ বছর বয়সী কুনিও।
ঘটনার পরপর আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এর দায় স্বীকার করলেও সরকার আইএসের দাবি প্রত্যাখ্যান করে।
ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন কুনিওর ব্যবসায়িক সহযোগী হুমায়ুন কবির হীরা, রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ-উন-নবী খান বিপ্লব, রংপুর মহানগর যুবদলের সদস্য রাজীব হাসান সুমন ওরফে মেরিল সুমন, নওশাদ হোসেন রুবেল ওরফে ব্ল্যাক রুবেল ও নগরীর শালবন মিস্ত্রিপাড়ার কাজল চন্দ্র বর্মণ ওরফে ভরসা কাজল।
তাদের একাধিকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরে জেএমবির সম্পৃক্ততা পেলেও এই পাঁচজন ছাড়া পাননি। বর্তমানে তারা রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।