দশ দিনেও লাশ পায়নি সাইফুলের পরিবার

গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারির নিহত পাচক সাইফুল ইসলাম চৌকিদারের লাশ ১০ দিনেও পাননি স্বজনরা।

কে এম রায়হান কবীর শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2016, 02:22 PM
Updated : 10 July 2016, 02:22 PM

রোববার সাইফুলের মেজ বোন মায়া ও চাচাত ভাই সুলাইমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

সাইফুলের ভায়রা কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ৬ জুলাই সাইফুলের লাশ ফেরত পাওয়ার জন্য গুলশান থানায় নড়িয়া পৌরসভা ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত আলীর প্রত্যয়ন পত্র জমা দেওয়া হয়।

“গুলশান থানা পুলিশ তদন্ত শেষ হলেই লাশ হস্তান্তরের আশ্বাস দেন। তার লাশ কোথায় আছে, কতদিন পর লাশ পাব তাও আমাদের জানায়নি।”

ঘটনার পর থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত সাইফুলের লাশের জন্য অনেক ছোটাছুটি করেছেন জানিয়ে সাইফুলের বোন মায়া বলেন, “১০ দিনেও আমার ভাইয়ের লাশ পাইনি। কবে পাব তাও জানিনা।”

দ্রুত তার লাশ হস্তান্তরের দাবি জানান সাইফুলের স্বজনরা।

স্বজনের কোলে কান্নারত সাইফুলের স্ত্রী সোনিয়া আকতার।

গত ২ জুলাই সকালে কমান্ডো অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী হলি আর্টিজানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর জিম্মি ২০ জনের মৃতদেহের পাশাপাশি আরও কয়েকজনের লাশ উদ্ধার করে।

হামলাকারী হিসেবে পাঁচজনের লাশের ছবি সাংবাদিকদের পাঠায় পুলিশ। তার আগেই জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের বরাতে পাঁচ হামলাকারীর ছবি আসে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের মাধ্যমে।

পুলিশের দেওয়া ছবিগুলোর মধ্যে চারটির সঙ্গে আইএসের দেওয়া চারজনের ছবির মিল পাওয়া গেলেও মিলছিল না শেফের পোশাক পরা একজনের চেহারায়।

পরে সাদা অ্যাপ্রন পরা ওই ব্যক্তিকে হলি আর্টিজান বেকারির ‘শেফ’ সাইফুল ইসলাম চৌকিদার বলে শনাক্ত করেন তার স্বজনরা।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কলুকাঠি গ্রামের মৃত আবুল হাসেম চৌকিদারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় সাইফুল। তার ছোট ভাই বিল্লাল মালয়েশিয়ায় থাকেন। তিন বোনের সবার বিয়ে হয়েছে, থাকেন স্বামীর বাড়িতে।

১০ বছর জার্মানিতে থাকার পরে দেশে ফিরে দেড় বছর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে পিৎজা তৈরির শেফ হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন সাইফুল।