রোববার বিকালে পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সামছুদ্দিন বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ঘটনাস্থল কিশোরগঞ্জ সদর এলাকায় হলেও ওইদিন সেখানে নিরাপত্তা চেকপোস্টের প্রধান ছিলেন পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সামছুদ্দিন।
মামলায় দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয় বলে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান।
দুই আসামি হলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের আব্দুল হাইয়ের ছেলে শরীফুল ইসলাম ওরফে শফীউল ইসলাম ওরফে সাইফুল ইসলাম (২২) এবং কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম তারাপাশার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে জাহিদুল হক ওরফে তানিম (২৪)।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আসামী শরীফুল ইসলাম বর্তমানে র্যাব হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন। অপর আসামি জাহিদুল হক কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
অতি দ্রুত আসামিদের আদালতে উপস্থাপনের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুর্শেদ জামানকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ওসি আরও বলেন, এদিকে পুলিশের অভিযানের সময় গোলাগুলিতে নিহত জঙ্গি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র আবির রহমানের লাশ বর্তমানে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে। তার লাশ নিতে এখনও কেউ আসেনি।
“ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে দুইটি পিস্তল, দুইটি চাপাতি, দুই রাউন্ড গুলি, চার ম্যাগজিন গুলিসহ আনুসঙ্গিক আরও অনেক আলামত পাওয়া গেছে।”
ঈদের দিন সকাল ৯টায় শোলাকিয়া মাঠ সংলগ্ন আজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে একটি চেক পোস্টে টহলরত পুলিশের উপর হামলা চালালে দুই পুলিশ নিহত হন। এরপর পুলিশে অভিযান চালালে স্থানীয় গুহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে এক হামলাকারীও মারা যান।