শনিবার দুপুরে শহরের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের জেলা জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর।
বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, পার্বত্য জনসংহতি সমিতি পাহাড়ের আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শুরু করেছে এবং নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ, গুম ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় র্যাবের তিনটি স্থায়ী ইউনিট স্থাপন ও ‘অপহৃত’ আওয়ামী লীগের নেতা মংপু মারমার সন্ধান দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও জেলার ৩৩টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এর আগে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নে সন্ত্রাস বিরোধী সভা করে জেলা আওয়ামী লীগ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাস ও পাপন বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগে অস্বীকার করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ -তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
“এ অবস্থায় জনসংহতি সমিতির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হত্যা ও নির্যাতনের মত ষড়যন্ত্র করেছেন পাহাড়ের আওয়ামী লীগে নেতারা।”
পার্বত্য জেলায় র্যাবের তিনটি স্থায়ী ইউনিট স্থাপনের দাবির বিরোধিতা করেন তিনি।