গুলশানে যারা, শোলাকিয়ায়ও তারা: আইজিপি

ঢাকার গুলশানে ক্যাফে এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া দুটি হামলার জন্যই জঙ্গি সংগঠন জেএমবিকে দায়ী করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2016, 11:04 AM
Updated : 9 July 2016, 01:01 PM

তিনি শনিবার শোলাকিয়া পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের বলেন, “গুলশানে যারা হামলা করেছে, তারাই শোলাকিয়ায় হামলা চালিয়েছে, তারা জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য।”

গত বৃহস্পতিবার শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত শুরুর আগ মুহূর্তে ঈদগাহের কাছেই কাছে পুলিশের উপর হামলা হয়। এতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। গোলাগুলির সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এক গৃহবধূ।

তার আগের শুক্রবার ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করা হয়।

হলি আর্টিজানে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে আইএসের নামে ইন্টারনেটে বার্তা এলেও তা নাকচ করে আইজিপি শহীদুল তখনও বলেছিলেন, জেএমবিই এই হামলা চালিয়েছে।

শোলাকিয়ার ঘটনায় এখনও কোনো বার্তার খবর না আসার মধ্যেই তিনি বাংলাদেশে এক যুগ আগে নিষিদ্ধ সংগঠনটিকেই দায়ী করেছেন।  

“তারা এখানে এসেছিল ঈদগাহতে বোমা মেরে মুসল্লিদের হত্যা করার জন্য। পুলিশের বাধার কারণে মাঠে যেতে ব্যর্থ হয়ে ওই জঙ্গিরা পুলিশের উপর হামলা করে।”

গুলশান ও শোলাকিয়া দুটি হামলাতেই ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে, যারা ঘরে ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর কিছুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।

পুলিশ প্রধান শহীদুল বলেন, “গুলশানে নিহত হওয়া পাঁচজনকে আমরা জেএমবি সদস্য হিসেবে জানি। আমরা তাদেরকে অনেক দিন ধরে আটকের চেষ্টা করে আসছিলাম।

“শোলাকিয়ায় হামলায় যারা আটক হয়েছে, তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে গুলশানে হামলাকারীদের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা আছে।”

শোলাকিয়ার হামলাকারী দুজন

আইএসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আইএস দেশ-বিদেশে সব হামলার ক্ষেত্রেই দায়িত্ব স্বীকার করে। আইএস কেন হামলার দায় স্বীকার করে, এই দাবিটা কাদের মাধ্যমে করে, কেন করে তা উদঘাটনে আমরা চেষ্টা করছি।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় পুলিশ প্রধান গোলাগুলির সময় নিহত গৃহবধূ ঝর্ণা রাণী ভৌমিকের বাড়িতে যান এবং  তার স্বজনদের সান্ত্বনা দেন।

আইজিপির সঙ্গে ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, কিশোগঞ্জের জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।