শুক্রবার সকালে তিনি সবুজবাগ এলাকার ওই বাড়িতে যান ঝর্ণা রানীর পরিবারকে এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
কিশোরগঞ্জের তিন সাংসদ সোহরাব উদ্দিন আহমেদ, রেজোয়ান আহাম্মেদ তৌফিক ও মো. আফজাল হোসেন এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
ঈদের সকালে শোলাকিয়া ঈদগা মাঠের আড়াইশ মিটার দূরে পুলিশের ওপর বোমা হামলার দুই কনস্টেবল নিহত হন। পরে গোলাগুলির মধ্যে প্রাণ হারান গৃহবধূ ঝর্ণা রানী।
বড় ছেলে ঢাকার তেজগাঁও মহিলা কলেজের প্রভাষক বাসুদেব ভৌমিক ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসায় বৃহস্পতিবার সকালে তার জন্য নাস্তার আয়োজনে ব্যস্ত ছিলেন মা ঝর্ণা। সেমাই রান্নার পর তিনি যখন রুটি বানানোর জন্য ময়দা মাখছিলেন, তখনই শুরু হয় গোলাগুলি। জানালা দিয়ে আসা গুলি মাথায় লাগলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন এই নারী।
তাদেরসহ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট সাতজনকে পুলিশ আটক করেছে ।
তবে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মামলা হয়নি জানিয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, “মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।”
এদিকে শুক্রবারও ঘটনাস্থল আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের টহল দেখা গেছে। ঈদের দিনের ঘটনার পর সেখানে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।
ঘটনাস্থল ও আশপাশের রাস্তায় লোক চলাচল নেই খুব একটা। রাতে কয়েক পশলা বৃষ্টির পরও এখনো রাস্তায় রক্তের কালচে দাগ লেগে আছে।