ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে যানজটের দুর্ভোগ

ঈদের রাস্তায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ৫৫ কিলোমিটার জুড়ে যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন উত্তরের পথের যাত্রীরা।

গাজীপুর প্রতিনিধিটাঙ্গাইল ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2016, 06:40 AM
Updated : 5 July 2016, 06:40 AM

মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে দুর্ঘটনা, গাড়ি বিকল হওয়ায় এবং বৃষ্টির কারণে সোমবার গভীর রাত এই ভোগান্তির শুরু হয়।

টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক এস এম শহিদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকেও মির্জাপুরের বোড়াইল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ৫৫ কিলোমিটার সড়কে জটে আটকে আছে গাড়ি।

তিনি জানান, গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু সড়কের ৪ নম্বর ব্রিজের কাছে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে ওই এলাকায় যানজট তৈরি হয়।

এক পর্যায়ে ঢাকা থেকে যমুনা পেরিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গমুখী যানবাহন যাতে সহজে বেরিয়ে যেতে পারে, সেজন্য ঢাকামুখী গাড়ি চলাচল সীমিত রাখে কর্তৃপক্ষ।

টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, “উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী এবং জামালপুর, শেরপুর ও ময়মনসিংহ থেকে ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে সাময়িকভাবে।”

এদিকে গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে তিন দিকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় বাস-ট্রাকের সারি দেখা গেছে বেলা ১১টার দিকে।

কোনাবাড়ির সালনা মহাসড়ক থানার ওসি আবু দাউদ খান জানান, সোমবার গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার শিল্প কারখানা ছুটি হওয়ায় রাস্তায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়ে যায়।

“টাঙ্গাইলের দিক থেকে যানবাহন না চলায় চন্দ্রা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার যানজট লেগে আছে। শেষ রাত থেকেই মহাসড়কে যানবাহন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।”

গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির জানান, সোমবার গভীর রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে গাড়ি বিকল হওয়ায় এবং ছোটোখাট দুর্ঘটনা হওয়ার ওই সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। পরে তা জটের রূপ নেয়।

বিকল গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরানো হলেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তার রেশ কাটেনি। চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি। 

চন্দ্রা এলাকায় দায়িত্বরত রোভার স্কাউটের ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার রাতে টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে আটটি দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে যানজট প্রকট আকার ধারণ করে।

চন্দ্রা এলাকা থেকে দক্ষিণে নবীনগর, পূর্বদিকে নাওজোর এবং উত্তরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ওই জট ছাড়িয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া এলাকার একটি গার্মেন্টের কর্মী আবুল বাশার বলেন, ভোর ৬টার দিকে ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে টাঙ্গাইলেরর বাসে ওঠেন তিনি। সকাল ১০টার সময়ও তিনি আটকে ছিলেন চন্দ্রা এলাকায়।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে আবদুল রহিম বলেন, ঢাকার সাভার থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটারের মতো রাস্তা যেতে তার সময় লেগেছে প্রায় আট ঘণ্টা। তিনি যাবেন জামালপুর। কখন পৌঁছাবেন তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

অবশ্য ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেইন হওয়ায় ওই সড়কে সুফল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানালেন জয়দেবপুরের স্প্যারো অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিক জয়নাল আবেদীন।

তিনি জানান, ময়মনসিংহের দিকে রাস্তায় তেমন ভোগান্তি নেই।

মাওনা হাইয়ে থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক, যানজট নেই।”