রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আব্দুল গফুর ওরফে নাগু মেম্বারকে (৫৫) মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপে হত্যা করা হয়।
মহেশখালী থানার ওসি বাবুল চন্দ্র বণিক বলছেন, কুতুবজোম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও কুতুবজোম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাগু নিজ গ্রামের মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
“পথে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্র ও গুলিতে আহত হন। স্থানীয়রা তাকে স্পিডবোটে করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, নাগুর আপন ভাইপো ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু সরওয়ার আলম ওরফে বতইল্ল্যাসহ প্রতিপক্ষের লোকজন নাগুকে হত্যা করে।
“নাগু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু। তিনি সাগরে দস্যুতাকারী নাগুবাহিনীর প্রধান। তার বিরুদ্ধে জলদস্যুতার অভিযোগে মহেশখালীসহ বিভিন্ন থানায় ২৮টির বেশি মামলা রয়েছে।”
ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আতিউর রহমান বলেন, রাত ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ নাগুকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
“নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও পিঠের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানান তিনি।