রোববার সকাল থেকেই জেলায় কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও একনাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহওয়া অদিদপ্তরের রোববারের পূর্ভাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের অদূরে উড়িষ্যা উপকূল ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম
বঙ্গোপসাগরের অদূরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল এবং সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
এ কারণে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণও হতে পারে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আহাম্মদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে ভোলায় অব্যাহত বর্ষণ হচ্ছে। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল রয়েছে।
“রোববার ৪৭ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোলা সদরের রাজাপুর এলাকায় বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে অন্তত পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বসত ঘরের মধ্যে ২/৩ ফুট পানি উঠে গেছে বলে জানান তিনি।
ভোলা পানি উন্নয়ন বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার বলেন, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া উত্তাল সেখানে স্বাভাবিকের চেয়ে ২/৩ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ঢেউয়ের তোড়ে ভোলা সদরের ইলিশা, রাজাপুর, দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা এলাকার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জোয়ারে অন্তত ২০টি চর ৩/৪ ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে বলে তিনি জানান।