শনিবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি এসব কথা বলেন।
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, “আমি সত্য বলতে চাই, সত্য বলতে পারতেছি না। খোলা কথা। সত্য যদি বলতে পারতাম, আমার কেইসটা জনগণ ও সরকার বুঝতে পারত।”
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের অলিপুরে কলেজ ছাত্রী তনুর লাশ পাওয়া যায়। পরদিন লাশের প্রথম ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
পরে ৩০ মার্চ আদালতের আদেশে তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। ওইদিনই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের গঠিত মেডিকেল বোর্ড দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করে।
তবে সিআইডির ডিএনএ রিপোর্টে তিন পুরুষের বীর্যের আলামত পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
ইয়ার হোসেন বলেন, “আমিতো সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না। যে করছে, অন্যায়কারীর বিচার আমি চাই। আমি তো বলব না যে পুরো বাংলাদেশের সেনাবাহিনী করেছে, আমার কথা হলো কুমিল্লার ক্যান্টমেন্টের লোকেরা করেছে। চট্টগ্রাম বা ঢাকার তারা তো করে নাই, তারা আমার বিরুদ্ধে খ্যাপলো কেন?”
তবে এখন পর্যন্ত কোনো পুলিশ সদস্য আসেনি বলে জানান তিনি।
“আমি তো আমার মেয়ের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি করছি। আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হবে কেন? এখন আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।”
কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নূরে আলম জানান, সিআইডির পক্ষ থেকে কেউ বিষয়টি তাদের জানায়নি।
এর আগে গত ২০ জুন তনুর মা আনোয়ারা বেগম এক প্রতিবাদ সমাবেশে অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনীরা তার পরিবারকে হয়রানি করছে এবং তনুর বাবা ইয়ার হোসেনকে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।