নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সালাহউদ্দিন সরদার অভিযোগ করেন, ঈশানবালায় এক কিলোমিটার এলাকায় ভাঙনস্থলে নির্ধারিত তিন মাসে এক লাখ ৪২ হাজার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলার কথা থাকলেও ছয় মাসে মাত্র ৩০ হাজার ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
বারবার পাউবো কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দিলেও কোনো লাভ হচ্ছে না বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
“বর্ষাকাল হওয়ায় এখন প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের আতংকে থাকতে হচ্ছে।”
এ এলাকায় ইতোমধ্যেই কয়েক শ বসতঘর ও দোকানপাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ঈশানবালা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা কাশেম হাওলাদার, মাঈনুদ্দিন ও গিয়াসউদ্দিন বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত। ভাঙনরোধে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানোর পর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডন করপোরেশন কাজে বিলম্বের কথা স্বীকার করেছে।
ডনের প্রতিনিধি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “শ্রমিক সংকট ও অফিসসহ কিছু কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি।
“তবে আমরা কোনো ধরনের তালবাহানা করছি না। দ্রুতগতিতে কাজ করার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নদীভাঙন প্রতিরোধ কাজ তদারক করা হচ্ছে।
“শ্রমিক সংকটের কারণে কাজ একটু ধীরগতিতে হচ্ছে। আমরা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বেশ কয়েকবার তাগিদ দিয়েছি।”
ভাঙনে যাতে বড় ধরনের ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে তারা তৎপর রয়েছেন বলে দাবি করেন।