কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাসের ১ বছর

কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে আগরতলা রুটে সরাসরি বাস চলাচলের এক বছর পূর্ণ হয়েছে।

আসাদুজ্জামান আসাদ, বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2016, 05:37 AM
Updated : 18 June 2016, 06:46 AM

ঝামেলামুক্ত হওয়ায় এ রুটে বাসটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এই রুটে প্রতিদিন চলাচলকারী দুটি বাসের একটি হলো বাংলাদেশের ‘বিআরটিসি’ এবং অপরটি ভারতের ‘ভূতল নিগম পরিবহন সংস্থার’।

বেনাপোল চেকপোস্টে বাসগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইউব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাসগুলো এই রুটে নিয়মিত যাতায়াত করছে। সপ্তাহের রোববার ছাড়া ছয় দিন একটি বাস কলকাতা থেকে ছাড়ে আগরতলার উদ্দেশে। আর আগরতলা থেকে ছাড়া বাসটি ঢাকা হয়ে কলকাতা যায়।

বাসের ভাড়া ভারতীয় মুদ্রায় দুই হাজার রুপি। কলকাতা, ঢাকা ও আগরতলা থেকেই শুধু টিকিট কেনা যায় বলে জানান আইউব।

গত বছরের ১ জুন পরীক্ষামূলকভাবে এই বাস চলাচল শুরু হয়। ওইদিন দুপুরে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা বাসটি যাত্রী নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহন সচিব আলাপন ব্যানার্জির নেতৃত্বে প্রশাসনের ১৪ জন কর্মকর্তা পরীক্ষামূলক এই বাসের প্রথম যাত্রী হিসেবে আসেন।

বাসটি পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে বেনাপোল চেকপোস্টে তাদেরকে ফুল দিয়ে সুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, যশোর জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং বেনাপোল শুল্ক ভবনের কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান।

এরপর গত বছরের ৬ জুন ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বাণিজ্যিকভাবে এই বাস সার্ভিস চালু হয়। ওইদিন আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন হয়।

ভূতল নিগম পরিবহন সংস্থার সুপারভাইজার সপ্তম ঘোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতিটি বাস বেলা ১১টায় কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করে দুপুরে বেনাপোল ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশে। রাতে ঢাকা থেকে আখাউড়া হয়ে পরদিন আগরতলায় পৌঁছে।  

বিআরটিসির সুপারভাইজার শংকর কুমার দে বলেন, বাসটি দুদেশের মধ্যে সোহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াচ্ছে। দুদেশের প্রশাসন, পরিবহন সেক্টর ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা বসেই এই রুটের প্রতি যাত্রীর ভাড়া ভারতীয় মুদ্রায় দুই হাজার ভারতীয় রুপি ঠিক করেছেন। এর মধ্যে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ও আখাউড়া চেকপোস্টের ভ্রমণকরও ধরা আছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শংকর বলেন, আগরতলা থেকে আসাম ঘুরে কলকাতা পৌঁছতে প্রায় এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। অথচ বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ঢাকা হয়ে আগরতলা যেতে মাত্র ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়।

এখন কম সময়ে এবং অল্প খরচে ত্রিপুরার মানুষ আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতা যেতে পারছেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, কলকাতা, ঢাকা ও ত্রিপুরার মধ্যে ব্যবসায়িক কাজে যাতায়াতকারীরাই বেশি এই বাসে যাতায়াত করছেন। অনেকে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাত ও ভ্রমণের জন্যও যাতায়াত করে থাকেন।