রোববার রাতে দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা নগদ টাকা, মোটরসাইকেল, কম্পিউটার মনিটর, ল্যাপটপ ও সোনার গহনা লুটে নেয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুখোশধারী ডাকাতরা ফেরদৌস আলীর বাড়ির বাইরে ও ভেতরে অবস্থান নেয়।
“এ সময় ফেরদৌস বাইরে থেকে মোটরসাইকেলযোগে তার ছেলেকে নিয়ে বাড়ির গেটে এসে পৌঁছলে ডাকাতরা ছেলেকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে রাখে।”
ওসি বলেন, পরে ফেরদৌসকে নিয়ে বাড়ির ভেতরে নিয়ে তারা নগদ ৭০ হাজার টাকা, আট ভরি সোনার গহনা, চারটি মোবাইল ফোন, টিভি কার্ড ও কম্পিউটর মনিটরসহ অন্যান্য মালামাল ডাকাতি করে।
“এরপর ডাকাতরা বাড়ির মালিক আশাদুল ইসলামের ঘরে ঢুকে ল্যাপটপ ও নগদ টাকা লুট করে।”
ডাকাতির শিকার পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, আধঘণ্টা ধরে দুই বাড়িতে ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতরা এ ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হলে রাতেই চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার ছুফিউল্লাহ, তিনি নিজে (ওসি), পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান, গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আমির আব্বাস, এসআই ইব্রাহিম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এলাকায় তল্লাশি চালান বলে জানান ওসি।