যশোরের কেশবপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচিত এক চেয়ারম্যানের কর্মীদের বিরুদ্ধে নৌকার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
Published : 30 May 2016, 01:20 PM
মঙ্গলকোট ইউনিয়নের ছোট পাথরা গ্রামে রোববার সকালে হামলার ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার কথা জানান কেশবপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ।
ওই ঘটনায় ছোট পাথরা গ্রামের সুকুমার দাস ২৫ জনকে আসামি দেখিয়ে মামলা করেছেন। একজনকে আটক করা হয় বলেও ওসি জানান।
সুকুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে রোববার সকালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনোয়ার হোসেনের ২০-২৫ জন কর্মী রাম দা, চায়নিজ কুড়াল ও লোহার রড নিয়ে এসে বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে।
“তারা ঘরের দরজা, টেলিভিশন, ফ্যান, আসবাবপত্র প্রভৃতি ভাংচুর করে এবং চার ভরি সোনার গয়না, ৫৪ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়।”
এ সময় পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে রক্ষা পায় বলে তিনি দাবি করেন।
তাছাড়া হামলাকারীরা একই পাড়ার প্রশান্ত দাস, দুলাল দাস, অসিত দাস ও নারায়ণ দাসকে মারধর করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
একই গ্রামের শামসু সরদার অভিযোগ করেন, তার বাড়িঘর ভাংচুরসহ ২০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন লুট করেছে এই হামলাকারীরা।
“পরে তারা পাথরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য আইয়ুব আলীকে মারধর ও ঘাঘা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহাদৎ হোসেন ও জামাল বিশ্বাসকে মারধর করে,” বলেন শামসু সরদার।
ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনায় পুলিশ আহসান উল্লাহ নামে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে। জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগ আব্দুল কাদের বিশ্বাসকে ইউপি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হন মনোয়ার। এ কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।