ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু: উপকূলীয় জেলায় জেলায় প্রস্তুতি

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাত মোকাবেলার জন্য উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রস্তুতির নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

জেলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2016, 04:42 PM
Updated : 20 May 2016, 04:42 PM

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে। জলোচ্ছ্বাস আর ভূমিধসের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে সারাদেশে নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর, কক্সবাজারকে ৬ নম্বর এবং পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর ‘বিপদ সংকেত’ দেখিয়ে যেতে বলা হয়।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলা এবং সংলগ্ন দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সে সময় ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে ঝড়ো হাওয়া।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন ঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতির খবর।

ভোলা প্রতিনিধি জানান, জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ও ভারী বর্ষণ হচ্ছে।  সকাল থেকে ভোলা সংলগ্ন মেঘনা, তেঁতুলিয়া, ইলিশা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২/৩ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ ভোলা থেকে বরিশাল ও লক্ষীপুর রুটের ফেরি এবং ঢাকা, বরিশালসহ সকল রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে।

এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে ভোলা উপকূলের তুলাতলী, ইলিশা, রাজাপুর, কোড়ারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ  রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ভোলা ইউনিট ও সিপিপিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সতর্কতা বিষয়ে মাইকে প্রচার চালাতে দেখা গেছে।

জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলায় ১০ হাজার ২০০ সেচ্ছসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ১১টি কন্ট্রোল রুম। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৯২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলার তিন শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসন শুক্রবার থেকে জেলার সকল সরকারি দপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে বলেও তিনি জানান।

বিআইডব্লিউটিএ-এর ভোলার কর্মকর্তা মো. নাসিম জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর কারণে শুক্রবার বিকাল থেকে ভোলার বিভিন্ন ঘাট থেকে ঢাকা, বরিশালসহ সকল রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ফেরি ইনচার্জ আবু আলম হাওলাদার জানান, ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও ভোলা বরিশাল রুটের ফেরী চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

ভোলা সিপিপি উপ-পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন  জানান, দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলায় ৫ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা জুড়ে রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন।

ভোলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা জামিলুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে প্রায় ১২শ’ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। গত রাত থেকে সেটি একই স্থানে রয়েছে।

“তবে যে কোনো সময় উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ভোলা থেকে এর দূরত্ব প্রায় এক হাজার কিলোমিটার।”

বরিশাল:

বরিশাল-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বরিশাল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে সাগরের পাশাপাশি নদীও উত্তাল রয়েছে।

দুর্ঘটনা এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবুল কালাম আজাদ জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

এছাড়া ২৩৪ আশ্রয় কেন্দ্রসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বাগেরহাট:

বৃহস্পতিবার থেকে জেলার সব জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মংলা সমুদ্র বন্দরে ৫ নম্বর সতর্ক সংকেত জারির পর বন্দরে থাকা পণ্যবাহী  জাহাজগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, দুর্যোগে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের শরণখোলা, মংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার মানুষ যাতে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য ২৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে জেলা প্রশাসন।

খোলা হয়েছে ১৮টি কন্ট্রোল রুম। দুর্গতদের উদ্ধার করতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে রেডক্রিসেন্টসহ সেচ্ছাসেবীদের। গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বন্দরে অবস্থান নেওয়া জাহাজগুলোকে ইঞ্জিন সচল রাখতে বলা হয়েছে যাতে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেলে দ্রুত নিরাপদে সরে যেতে পারে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম বলেন, জেলার নয়টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা শুক্রবার সকালে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে প্রস্তুতিমূলক জরুরি সভা করেছেন। দুর্যোগ মোকাবেলা করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। জেলার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে এলাকায় অবস্থান করতে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়।

ফেনী:

ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি সভা করেছে ফেনী জেলা প্রশাসন।

ফেনীর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক কবির আহম্মদ জানান, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কখনও মুষলধারে আবার কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যারয়ে জরুরি আলোচনা সভায় জানানো হয়, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। জেলা প্রশাসকের কন্ট্রোল রুমে সার্বক্ষণিক তথ্য পাওয়া যাবে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেডক্রিসেন্ট কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

পটুয়াখালী:

শুক্রবার সকাল থেকে উপকূলজুড়ে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আবার কখনও কখনও হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দমকা বাতাস বইছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কুয়াকাটা-সোনারচর সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। অর্ধশতাধিক চরসহ নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলাগুলোতে মোট ৯টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলে পটুয়াখালী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নেজারত ডেপুটি কালেক্টরেট আলমগীর হোসেন জানান।

জেলা প্রশাসক একেএম শামিমুল হক ছিদ্দিকী বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি সভা করা হয়েছে এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

প্রয়োজনীয় মেডিকেল টিমসহ ২১২ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ৮০ হাজার নগদ টাকাসহ শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে তিনি জানান।

পটুয়াখালী নৌ-বন্দর সহকারী উপ-পরিচালক মাহতাব উদ্দিন শেখ জানান, মাছ ধরার ট্রলারগুলো উপকূলের দিকে ফিরে আসতে শুরু করেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। সকাল থেকেই মানুষ ঘরমুখো হয়েছে।

স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। মৎস্য বন্দর আলীপুর, মহিপুর, ঢোস, রাঙ্গাবালী, মৌডুবিসহ বিভিন্ন স্থানে ট্রলার নোঙর করছে জেলেরা।

রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ জানান, জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগকালীন যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন চরের আশ্রয় কেন্দ্র, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা:

জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখতে প্রশাসনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শুক্রবারের কারণে ছুটি থাকলেও দুর্যোগ দেখা দিলে ছুটি হয়ে যাবে।

নোয়াখালী:

শুক্রবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। জেলার উপকূলীয় তিন উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। প্রচার মাইকে লোকজনকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করতে বলা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস জানান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির সভায় ঘুর্ণিঝড় পূর্ববতী এবং পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ২৪১টি আশ্রয় কেন্দ্র, প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন, মেডিকেল টিম, শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানিসহ পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। মাছধরা ট্রলার ও নৌকাগুলোকে উপকূলে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

জেলা ঘূার্ণঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপ পরিচালক মো. শরাফত হোসেন খান জানান, উপকূলীয় এলাকায় তাদের ৬ হাজার ২২৩ জন স্বেচ্ছাসেবক হ্যান্ডমাইকে লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছে।

নোয়াখালী জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ইউনিট অফিসার সৈয়দ আফরিদুল ইসলাম জানান, রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা, যুব নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবক শুকনো খাবার নিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।

কক্সবাজার:

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আঘাত হানার আশঙ্কায় কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে শুক্রবার রাত ১০টার মধ্যে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, “শুক্রবার রাত ১০টার মধ্যেই উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

“জানমালের ক্ষতি মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকার চার লক্ষাধিক মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে “

এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।

সরজমিনে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করতে দেখা গেছে।

লোকজনকে সরিয়ে নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২টি গাড়িও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান।

তবে উপকূলীয় এলাকার লোকজন বলছে, উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার লক্ষণ দেখা গেলে তবেই তারা বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেবেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি স্থানীয় স্কুল-কলেজ খোলা রেখে লোকজনকে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসাসহ দুর্যোগকালের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “জেলায় ১৬২ মেট্রিকটন শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।

“এছাড়া পর্যাপ্ত চিকিৎসক, উপকূলীয় এলাকার ৪৮টি ইউনিয়নে প্রতি দলে ১৫ জন করে ৪১৪টি স্বেচ্ছাসেবক দলকে দুর্গত মানুষকে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”

এ কাজে স্থানীয় দমকল বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রোভার স্কাউট, আনসার ও ভিডিপির সদস্যদেরও সমন্বয় করা হয়েছে বলে তিনি জানান।