শনিবার বজ্রপাতে হবিগঞ্জে নিহতরা হলেন সদর উপজেলার কাকিয়ার আব্দা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কৃষক আবিদ আলী (২২), লাখাই উপজেলার পশ্চিম বুল্লা গ্রামের বাসিন্দা বুল্লা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী (৪০) ও একই উপজেলার ভাদিকারা গ্রামের বাসিন্দা মশ্বব আলীর ছেলে দিনমজুর শফিকুল ইসলাম (৩২)।
এছাড়া, মৌলভীবাজারে নিহত হয়েছেন কুলাউড়া উপজেলার ক্ষেত্রগুল এলাকার মোস্তফা মিয়া (৫০)।
শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জে বজ্রপাতসহ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় উল্লেখ করে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম বলেন, “ঝড়ের সময় কৃষক আবিদ আলী স্থানীয় ঘুঙ্গিয়াজুড়ি হাওরে ধান কাটছিলেন। তখন বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।”
লাখাই উপজেলার পশ্চিম বুল্লা গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা রমজান দুপুরে তার বাড়ির পাশে জমি থেকে গরু আনতে গেলে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান তিনি।
এছাড়া, “দিনমজুর শফিকুল তার গ্রামের নিটকবর্তী স্থানে মাটি কাটছিলেন। দুপুরে ঝড় শুরু হলে বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।”
এছাড়াও বজ্রপাতে আরও অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে, তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।একটি গরু মারা গেছে বলে জানায় পুলিশ।
অন্যদিকে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মৌলুভীবাজারের বড়লেখায় শনিবার সকালে ক্ষেত্রগুল এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে র বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ওই এলাকার মোস্তফা মিয়া (৫০) বলে জানান বড়লোখা থানার ওসি মনিরুজ্জান।