চাঁদাবাজির অভিযোগে নাটোরের একাংশে সরকারি চাল সরবরাহ বন্ধ

চাঁদাবাজির অভিযোগে চালের সরবরাহ বন্ধ থাকায় নাটোরের কিছু এলাকায় সরকারের সুলভমূল্যের চাল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষ।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2016, 11:28 AM
Updated : 2 April 2016, 11:28 AM

গত বৃহস্পতিবার থেকে চাহিদাপত্রের (ডিও) বিপরীতে গুদাম থেকে চল সরবরাহ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মাঝগাঁও ইউনিয়নের ওএমএস ডিলার আবু বকর সিদ্দিক ও বনপাড়া পৌরসভার ওএমএস ডিলার হারুন অর রশিদ।

তারা জানান, এই চাল বিক্রি করতে না পারায় গত তিনদিন থেকে সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার স্বল্প আয়ের লাখো মানুষ বিপাকে পড়েছেন।

চাল সরবরাহ বন্ধের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে  উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালাম জানান, বিভাগীয় খাদ্য অফিস থেকে বড়াইগ্রামের জন্য মুলাডুলি খাদ্য গুদাম থেকে ৩০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বুধবার দুই ট্রাক চাল বড়াইগ্রামের বনপাড়া গুদামে আসে। তবে চাল খালাস না করে ট্রাক দুটি ফিরে যায়।

‘ওই দিন বিকেলে পরিবহন ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম তার কাছে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশানুল কাওছারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে।’

রওশানুল কাওছারকে সরানো না হলে ঠিকাদাররা চাল বহন করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে পরিবহন ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্ধারিত হারে চাঁদা না পাওয়া পর্যন্ত ট্রাক থেকে চাল নামানোর অনুমতি দেন না। ঘণ্টার পর ঘণ্টার ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখেন। এভাবে চাল পরিবহন করা যাবে না।’

অভিযোগটি খাদ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

এই ঠিকাদারদের অভিযোগ অস্বীকার করে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) রওশানুল কাওছার বলেন,‘মুলাডুলি গুদামের নি¤œমানের চাল আমি খালাস করতে না দেওয়ায় ঠিকাদাররা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। ভালো চাল আসলেই ওএমএস অব্যাহত থাকবে।’

তবে এ ঘটনা জানা নেই বলে বড়াইগ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে তিনি ব্যবস্থা নেব।’

কবে নাগাদ ফের ওএমএস আবার শুরু হবে তাও বলতে পারেননি সংশ্লিষ্ট খাদ্য সরবরাহকারীরা।