এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে কমলনগর থানায় দুইটি মামলা হয়েছে। বিকালে ওই দুই বোনকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে তাদের পরিবারের অভিযোগ।
মামলার আসামিরা হলেন তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের মৃত ইস্রাফিলের ছেলে মো. খোকন, মৃত সোলেমানের ছেলে মো. সিরাজ, ইসামাইল হোসেনের ছেলে মো. ইউছুফ ও মৃত হোসেন আহাম্মদের ছেলে মো. আবদুল করিম।
এছাড়া আরও একজন রয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি।
নির্যাতনের শিকার বড় বোন বলেন, তাদের এলাকার মো. খোকন তাকে পছন্দ করত। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে খোকন তার বাড়িতে গিয়ে তাকে বের হতে বলে। তিনি একা বের হতে রাজি না হলে ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে বের হতে বলে খোকন।
পরে দুই বোন ঘর থেকে উঠানে বের হলে ৪/৫ জন মিলে তাদের মুখ বেঁধে স্থানীয় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায় তারা। ওই বাড়ির পুকুর পাড়ে রাতভর তাদের ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ছোট বোন বলেন, খোকনের চাচাত ভাই সিরাজ তার গলায় ছুরি ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। এছাড়া খোকন ও সিরাজের বন্ধু ইউছুফ ও আবদুল করিমও তাদের দুবোনকে ধর্ষণ করে।
তাদের মা সাংবাদিকদের বলেন, রাতে তিনি ঘুমিয়েছিলেন। ওই সময় ‘বখাটে’ খোকন, সিরাজসহ তাদের কয়েকজন সহযোগী মিলে তার দুই মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে।
সকালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি কলাবাগান থেকে তাদের অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন বলে জানান তিনি।
বিষয়টি স্থানীয় নবনির্বাচিত ওয়ার্ড সদস্য আবদুর রহিম দুলাল মাঝিকে জানালে তিনি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে মামলা করতে নিষেধ করেন। কিন্তু কোনো বিচার না পেয়ে তিনি থানায় অভিযোগ করেন বলে জানান।
ওই দুই তরুণীর ভাইসহ স্থানীয়রা জানান, আসামিরা আব্দুর রহিম দুলাল মাঝির চাচাত ভাই ও নিকট আত্মীয় হওয়ায় মীমাংসার নামে সময়ক্ষেপণ করে ধর্ষণের আলামত নষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আবদুর রহিম দুলাল মাঝি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। আমি ধর্ষিতাদের উপকার করার চেষ্টা করেছি।”
কমলনগর থানার ওসি কবির আহাম্মদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দুই বোন ধর্ষিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে, জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।