সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম ফটিক জানান।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাফিজুর রহমান, সিহাব উদ্দিন, আবদুল মতিন, আবদুল রশিদ ও দেলোয়ার হোসেন।
তাদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সফিউল্লা ওরফে তারেক ও শহীদুল ইসলাম ওরফে ফারুফ নামে দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান অ্যাডভোকেট সিরাজুল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সিরাজুল বলেন, রায় ঘোষণার সময় মামলার সাত আসামির মধ্যে ছয়জন আদলাতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর সদস্যরা নাটোরের আদালত চত্বর, আইনজীবী সমিতি কক্ষ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ট্রেজারি অফিস, নাটোর প্রেসক্লাব, বাস টার্মিনাল ও রেলস্টেশন এলাকায় একযোগে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
বিস্ফোরণের স্থানে জেএমবির জিহাদি বই ও প্রচারপত্র ফেলে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেগুলো উদ্ধার করে।
ওই ঘটনায় নাটোর সদর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে থানার তৎকালীন ওসি মতিউর রহমান ২০০৫ সালের ১০ নভেম্বর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
আসামি হাফিজুর, দেলোয়ার, সিহাব উদ্দিন, আব্দুল মতিন ও আব্দুর রশিদ বিচারিক হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ মামলায় ৭৫ জনের মধ্যে ৪২ জন সাক্ষ্য দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আমেল চৌধুরী রায়ের বিরদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন।
২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট নাটোরসহ দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছিল জেএমবি। এর অংশ হিসেবে এসব জেলার ৬৩৪টি স্থানে বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে তারা।