কক্সবাজারে আ. লীগ ৭, বিএনপি ৩

প্রথম দফায় কক্সবাজারের তিন উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের সাতটিতে আওয়ামী লীগ, তিনটিতে বিএনপি ও পাঁচটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2016, 10:04 AM
Updated : 23 March 2016, 10:04 AM

মহেশখালীর একটি ইউনিয়নে ফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নে স্থগিত একটি কেন্দ্র ছাড়া বাকিগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন।

বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চারজন এবং জামায়ত সমর্থিত রয়েছেন একজন।

টেকনাফ

মঙ্গলবার গভীর রাতে টেকনাফ উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম ফল ঘোষণা করেন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে এক হাজার ৩০ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন স্বতন্ত্র (আ. লীগ বিদ্রোহী) নুর আহমদ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মুজিবুর রহমান পান ৭৮৪ ভোট।

বাহারছড়ায় নির্বাচিত আওয়ামী লীগের আজিজ উদ্দিন পান ৬ হাজার ৭১৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মো. রফিক উল্লাহ পান ৩ হাজার ৩৭৬ ভোট।

টেকনাফ সদরে নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ. লীগ বিদ্রোহী) মোহাম্মদ শাহাজাহান পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৫৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জিয়াউর রহমান পান ৬ হাজার ৬২০।

সাবরাংয়ে নির্বাচিত স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোর্হী) নুর হোসেন পেয়েছেন ৭ হাজার ২৩৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সোনা আলী ৭ হাজার ১৪২।

কুতুবদিয়া

মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রভাত বড়ুয়া ফল ঘোষণা করেন।

উত্তর ধুরুংয়ে নির্বাচিত স্বতন্ত্র (জামায়াত নেতা) আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরী পেয়েছেন ৪ হাজার ৫২৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. ইয়াহিয়া খান পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩৫ ভোট।

দক্ষিণ ধুরুংয়ে নির্বাচিত বিএনপির ছৈয়দ আহমদ পেয়েছেন ৩ হাজার ৩০৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি বিদ্রোহী) আলাউদ্দিন আল আজাদ পেয়েছেন ৩ হাজার ১১২ ভোট।

লেমশীখালীতে নির্বাচিত বিএনপির আকতার হোসাইন পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ছৈয়দ আহমদ কুতুবী পান ২ হাজার ৩৯৬ ভোট।

আলী আকবর ডেইলের নির্বাচিত আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৮৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফিরোজ খান চৌধুরী পেয়েছেন ২ হাজার ৮৭০ ভোট।

বড়ঘোপ ইউপিতে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ৮ হাজার ৬০২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (বিএনপি বিদ্রোহী) শাকের উল্লাহ পেয়েছেন ২ হাজার ২৮৯ ভোট।

কৈয়ারবিলে নির্বাচিত বিএনপির জালাল আহমদ পেয়েছেন ১ হাজার ৯৭৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (জামায়াত সমর্থিত) আবু মুছা কুতুবী পেয়েছেন ১ হাজার ৭৬৯ ভোট।

মহেশখালী

মহেশখালীর ইউএনও মো. আবুল কালাম মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার ছয় ইউনিয়নের মধ্যে ৫ ইউনিয়নের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

ইউএনও জানান, বড় মহেশখালী ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত থাকায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।

ছোট মহেশখালীতে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের জিহাদ বিন আলী পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৪৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) আব্দুস সামাদ পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৬ ভোট।

কুতুবজোমে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মোশারফ হোসেন খোকন পেয়েছেন ১০ হাজার ৯২২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. শফিউল আলম পেয়েছেন ২ হাজার ২৮২ ভোট।

হোয়ানকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের মো. মোস্তফা কামাল পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৮১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এনামুল হক পেয়েছেন ৭ হাজার ৩১৩ ভোট। 

মাতারবাড়ীতে নির্বাচিত স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) মোহাম্মদ উল্লাহ পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৯৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নাছির উদ্দিন মো. বাবুল পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১৫ ভোট।

ধলঘাটায় নির্বাচিত আওয়ামী লীগের কামরুল হাসান  পেয়েছেন ৪ হাজার ১৮১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামায়াত সমর্থিত) নুরুল আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৭১৮ ভোট।

বড় মহেশখালীতে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রিয়াদুল কুদ্দুস জানান, মগরিয়াকাটা কেন্দ্রে ব্যালেট পেপার ও ব্যালেট বক্স ছিনতাইয়ের ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। ওই কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ৬৪ জন।

তিনি বলেন, ইউনিয়নের অন্য কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী এনায়েত উল্লাহ বাবুল ৮৩৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ১১ হাজার ৪৪৬। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. শরীফ বাদশা পেয়েছেন ১০ হাজার ৬১০ ভোট।

প্রথম দফায় মঙ্গলবার কক্সবাজারের তিন উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

একই দিন আরও তিন ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের আদেশের কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যায়। এর মধ্যে টেকনাফের হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নে আগামী ২৭ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া প্রথম দফায় ঘোষিত ইউপি নির্বাচনে তপশীল অনুযায়ী নির্বাচনের একদিন আগে হাই কোর্টের আদেশে নির্বাচন কমিশন মহেশখালীর কালামারছড়া ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করে।

ওই ইউনিয়নের নির্বাচনের নতুন তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।