পাবনার বেড়া উপজেলার দুটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছন। সংঘর্ষের পর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন এক বিএনপি প্রার্থী।
Published : 22 Mar 2016, 01:25 PM
মঙ্গলবার মাসুমদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চাকলা ইউনিয়নের নলভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুশিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তারাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মোজাম্মেল বলেন, সকালে মাসুমদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মিরোজ হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপির শামসুর রহমানের সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়।
এ সময় ঘটনাস্থলের আশপাশের ৫/৬টি বাড়িতে ভাংচুরও চালানো হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানান এ নির্ববচনী কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শামসুর রহমান সোমেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোটারদের আওয়ামী লগের পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করার প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিরোজ হোসেনের লোকজন তার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।
“তারা আমাদের লোকজনকে মারধর করে এবং আব্দুল আওয়াল খা নামে আমার সমর্থকের বাড়িসহ আশপাশের আরও ৫/৬ টি বাড়ি ভাংচুর করে।”
ঘটনার পর শামসুর রহমান ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বলে রিটানিং কর্মকর্তা মোজাম্মেল জানান।
এ বিষয়ে জানতে মিরোজ হোসেনের সঙ্গে যোগযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
তবে তার বড় ভাই ফিরোজ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ডের দুই সদস্য প্রার্থীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। বিষয়টি ঠিক হয়ে গেছে। ভোটগ্রহণও স্বাভাবিকভাবে চলছে।
এদিকে, চাকলা ইউনিয়ের নলভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এক পোলিং এজেন্টকে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে আটক করা হয়েছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান।
এর জেরে ওই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে চাকলা ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থী আব্দুস সালাম বলেন, “আমার লোকজনকে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের লোকজন ভোটারদের তাদের পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করেছে।
“এছাড়া কুশিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বহিরাগতদের দিয়ে ভোট কেটে নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে বার বার অভিযোগ করেও কোন প্রকার লাভ হয়নি।”
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার পক্ষে ভোটার বেশি থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এ জন্যেই তিনি এসব অভিযোগ করে যাচ্ছেন।”
এছাড়া একই ইউনিয়নের তারাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।