কেন্দ্র দখল ও বাক্স ছিনতাইয়ের জেরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়ন ও সদরের মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে সংঘর্ষ হয়েছে।
Published : 22 Mar 2016, 11:51 AM
মঙ্গলবার এ সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধশতাধিত আহত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পরে দুইটি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া বাউফল উপজেলার দুই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ও বিএনপি প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
চাকামইয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চুঙ্গাপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সকালে একদল লোক কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালট বক্স ছিনিয়ে নেয়।
“এরপর বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের অনন্ত ৬০ জন আহত হন।”
তাদের কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণবাজার ঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মৃণাল কান্তি দাস বলেন, সকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে বিদ্রোহীর সমর্থকরা বাধা দেয়।
“এ সময় দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়। পরে কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করা হয়।”
এছাড়া বাউফলের গদা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এএস ইউসুফ নির্বাচন বর্জন করেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা কেন্দ্র দখল ও তার পোলিং এজেন্টদের মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে ঝুলিয়া ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী আব্দুল জব্বর বলেন, সকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা জোর করে ভোট কেন্দ্র দখল ও তার সমর্থকদের মারধর করেছেন।
পরে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বলে জানান।