ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরায় ভোট শুরুর আগেই দুটি কেন্দ্র দখল করে বাক্স বোঝাই, এবং এক কেন্দ্রে বোমাবাজির খবর পাওয়া গেছে।
Published : 22 Mar 2016, 09:07 AM
মঙ্গলবার ভোরে কুমিরা ইউনিয়নের ভাগবাহ ভোটকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক আওয়ামী নেতা ও তার ছোটভাই আহত হয়েছেন।
আহত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস ও তার ছোট ভাই রুহুল আমিনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পাটকেলঘাটা থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, রুহুল কুদ্দুস ও রুহুল আমিনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাগবাহ ভোট কন্দ্রে ঢুকে নৌকা প্রতীকের ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভরছিল। দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার তাদের বাধা দিতে চাইলেও তারা তা উপেক্ষা করে।
পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছুড়লে কুদ্দুস ও আমিনের পায়ে গুলি লাগে বলে জানান ওসি।
এদিকে কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের এক প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটের আগের রাতে জোর করে ব্যালট ছিনিয়ে নেয় বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার গভীর রাতে ইউনিয়নের কলাটুপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার গৌতম ঘোষ বলেন, “নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসলামুল হক জোর করে ব্যালট পেপার কেটে বাক্স ভরছিলেন।”
এদিকে কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কাজীরহাট কলেজ সংলগ্ন এলাকায় রাতে পরপর কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হামিদ জানান।
আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হুমকিতে তার পক্ষে কোনো পোলিং এজেন্ট দায়িত্ব পালনে রাজি হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
একই উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন অভিযোগ করেছেন, রোববার রাতে তার বাড়ির সামনেও পাঁচটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।