রোববার বিকালে এ সংঘর্ষের সময় গোলাগুলি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
পুলিশ দুপক্ষের গোলাগুলির কথা বললেও কেউ গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর নিশ্চিত করতে পারেনি।
মহেশখালী থানার ওসি বাবুলচন্দ্র বণিক বলেন, ভোটগ্রহণ শেষ হলে ঘোনারপাড়া, পুটিবিলা, চরপাড়া ও গোরকঘাটা ইসলামিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এতে ইটপাটকেলের আঘাতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
এরমধ্যে ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হলেও গুলিতে কেউ আহত হয়েছে কি না তা তিনি জানাতে পারেননি।
এদিকে কক্সবাবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, অন্তত ১৭ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এই হাসপাতালে আনা হয়েছে।
“তাদের মধ্যে মো. মোবারক, মো. তৌকির ও মো. রাসেলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
আরও অন্তত ১৪ জনকে হাতসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের নাম জানাতে পারেননি তিনি।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন, দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
মহেশখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মোকছেদ মিয়া এবং বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সরওয়ার আজম।
সরওয়ার আজমের ভাই মো. শাহজাহান বলেন, ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন ব্যালট কেটে বাক্সে ঢোকানোর চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোকছেদ মিয়ার সঙ্গে যোযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।