জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আলু তোলার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক-কৃষাণিরা।
রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ ম আশরাফ আলী জানান, চলতি বছর জেলার আট উপজেলায় ৪৮ হাজার ৫৬৮ হেক্টর জমিতে ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬৮ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
উত্পাদন লক্ষ্যমাত্রা একরে সাড়ে ১৯ মেট্রিকটন ছাড়িয়ে সাড়ে ২০ মেট্রিকটন করে হয়েছে বলে জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে এ বছর জমি তৈরি, বীজ, সার, সেচ, কীটনাশক ও আলু উত্তোলন পর্যন্ত একরে খরচ পড়েছে ৬৮ হাজার ৮০০ টাকা। তাতে কেজি প্রতি আলু উৎপাদনে খরচ দাঁড়ায় সোয়া ৭ টাকা।
বর্তমানে পৌনে ৮ টাকা থেকে সাড়ে ৯টাকা কেজি দরে আলু বিকোচ্ছে উল্লেখ করে এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, “বাজারে আলুর দামও ভালো। বর্তমানে বাজারে যে দামে আলু বিক্রি হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে কৃষকদের কোনো লোকসান থাকবে না, বরং লাভবান হবেন তারা।”
রংপুরের আলুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে ডায়মন্ড জাতের আলু প্রতি বস্তা ৮০০ টাকা, গ্র্যানুলা জাতের আলু ৭৫০ টাকা ও কার্ডিনাল জাতের আলু ৭০০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজুল্লাহ গ্রামের আলু চাষি মোজাফফর হোসেন বলেন, “গত বছর লাভের আশায় তিন একর জমিতে আলু বুনে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ করেছি। ৪-৫ টাকা কেজি দরে আলু বেচে এক লাখ ৪২ হাজার টাকা লোকসান গুনেছি।
৮৪ কেজি ওজনের প্রতিবস্তা আলু ৭০০-৮০০ টাকা দরে বেচে ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের দেউতি গ্রামের কৃষক খয়বর আলী বললেন, “রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থাকি ঋণ নিয়া ১০ একর জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলু চাষ করচি। ফলনও ভালো হইচে। আরও দাম বাড়বে এই আশায় আলু তুলি ঘরোত রাখি দিচি।”
বর্তমানে প্রতিবস্তা ডায়মন্ড আলু ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই দামে আলু ব্যাচাইলে ঋণের টাকা শোধ করিয়াও অনেক টাকা লাভ হইবে।”