আসামিদের উপস্থিতিতে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন আনজিলার সহোদর ছোট ভাই আব্দুল মজিদ (২৮), মমিনুল হক (৩১), আরিফুল ইসলাম (২৮), এমদাদুল হক (৩২) ও আনোয়ারুল হক (৩০)।
এরা সবাই রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কুমারপুর এলাকার বাসিন্দা বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অতিরিক্ত পিপি) ফারুক মোহাম্মদ রেয়াজুল করিম জানিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, আব্দুল মজিদের আপন ভাতিজি নাসিমা বেগমের স্বামী গোলাপ মিয়া খুন হন ২০০৬ সালের শুরুর দিকে। ওই হত্যা মামলার আসামি হলেন মমিনুল হক, আরিফুল ইসলাম, এমদাদুল হক ও আনোয়ারুল হক।
এ মামলার বাদী ছিলেন নিহত গোলাপ মিয়ার বাবা বাচ্চা মিয়া।
ওই মামলার বাদীপক্ষকে উল্টো ফাঁসানোর জন্য আব্দুল মজিদের বোন আনজিলাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে চার আসামি। এজন্য মজিদকে দুই লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তারা এবং মজিদ তাতে রাজি হয়।
পরে পাঁচজন মিলে ২০০৬ সালের ৯ মার্চ রাতে আনজিলাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারুক মোহাম্মদ রেয়াজুল করিম জানান, আব্দুল মজিদ আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যার ঘটনা বর্ণনা এবং জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
ওই ঘটনায় আনজিলার বড়ভাই আব্দুল বাকি বাদী হয়ে ওই পাঁচজনকে আসামি করে ১০ মার্চ সকালে পীরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে জানান ফারুক।
পীরগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই আবু আব্দুল্লাহ ২০০৬ সালের ৩১ অগাস্ট পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।