পুরোহিত হত্যা: ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দিয়েছে খলিল

পঞ্চগড়ে পুরোহিত হত্যার ঘটনায় হেফাজতে নেওয়ার পর খলিলুর রহমান ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2016, 03:04 PM
Updated : 3 March 2016, 03:04 PM

তবে খলিলের কাছে পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আইয়ুব আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে খলিল গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু তথ্য দিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাবে না।”

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকা কথিত জেএমবি সদস্য খলিলকে ১০ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ (রিমান্ড) শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান এই তদন্ত কর্মকর্তা।

এই নিয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা ছয়জনের মধ্যে দুইজনকে রিমান্ডের সময় শেষ হওয়ার আগে কারাগারে ফেরত পাঠাল পুলিশ।

এর আগে হেফাজতে নেওয়ার তিন দিনের মধ্যে কথিত জেএমবি সদস্য আলমগীর হোসেন (২৮) পুরোহিত হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গত মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দি দিলে তাকে কারাগারে ফেরত পাঠায় পুলিশ।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি দেবীগঞ্জের সোনাপোতা গ্রামের সন্তগৌরীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তাদের গুলি ও বোমার বিস্ফোরণে আহত হন আরও দুইজন।

ওই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ থানায় হত্যা মামলা করেন। অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পুলিশ আরেকটি মামলা করে। দুটি মামলাই অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের নামে দায়ের করা হয়।

গ্রেপ্তার খলিলুর রহমান (৫৫), বাবুল হোসেন (২৮) ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৩০) গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ দিন করে পুলিশ হেফাজতে দেয় আদালত।

এছাড়া আলমগীর হোসেন (৩৫), হারেজ আলী (৩২) ও রমজান আলীকে (২২) এক মামলায় ১০ দিন করে এবং আরেক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিন করে পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়।