মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত আলমগীর হোসেন (৩৫) জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মার্জিয়া খাতুনের আদালতে এই স্বীকারোক্তি দেন বলে জানান দেবীগঞ্জ থানার ওসি বাবুল আক্তার।
আলমগীর দেবীগঞ্জ শহরের কামাতপাড়া মহল্লার রফিকুল ইসলামের ছেলে। আলমগীরের ভাই জাহাঙ্গীরও ১৫ দিনের হেফাজতে রয়েছেন।
গত ২১ ফেব্রুয়রি দেবীগঞ্জের সোনাপোতা গ্রামের সন্তগৌরীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তাদের গুলি ও বোমার বিস্ফোরণে আহত হন আরও দুইজন।
ওই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ থানায় হত্যা মামলা করেন। অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পুলিশ আরেকটি মামলা করে। দুটি মামলাই অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের নামে দায়ের করা হয়।
এক মামলায় ১০ দিন করে এবং আরেক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিন করে দেবীগঞ্জ শহরের কামাতপাড়া মহল্লার রফিকুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫), সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের কালীরডাঙ্গা গ্রামের ভ্যান চালক হারেজ আলী (৩২) ও দণ্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ মসজিদপাড়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে রমজান আলীকে (২২) পুলিশ হেফাজতে দেয় আদালত।
এছাড়া অপর গ্রেপ্তার খলিলুর রহমান (৫৫), বাবুল হোসেন (২৮) ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৩০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ দিন করে পুলিশ হেফাজতে দেয় আদালত।