উত্ত্যক্তের অভিযোগ করায় গৃহবধূর চুল কর্তন

‘উত্ত্যক্তের অভিযোগে’ আটক হওয়ার পর থানা থেকে ছাড়া পেয়ে কুষ্টিয়ার খোকসায়  বখাটেদের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2016, 12:44 PM
Updated : 1 March 2016, 02:44 PM

সোমবার উপজেলার হেলালপুর গ্রামে এ ঘটনায় গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ওই গৃহবধূ জানান, ইটভাটা শ্রমিক স্বামী বাড়ি না থাকার সুযোগে স্থানীয় বাদশার ছেলে তৌহিদ (৩০) ও আব্দুল হাকিমের ছেলে সুমন (২০) তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ বিষয়ে রোববার খোকসা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। এরপর সুমন-তৌহিদকে আটক করে পুলিশ।

“আটকের পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা দেন দরবার করে তাদের ছাড়িয়ে আনে।”

তবে খোকসা থানার ওসি কাজী দাউদ হোসেন উত্ত্যক্তের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ ও আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে অন্য একটি ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমন ও তৌহিদকে থানায় ডাকা হয়েছিল বলে দাবি করেন।

ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, প্রভাবশালীদের দেন দরবারে সোমবার সকালে থানা থেকে ছাড়া পেয়ে তৌহিদ ও সুমন ছয় সহযোগীসহ তাকে বাড়ি থেকে চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে এক মাঠে নিয়ে নির্যাতন করে এবং মুখে চুন-কালি মাখিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে বেঁধে চুল কেটে দেয়।

এই নির্যাতনের পর মামলার কথা বলে ওসি তাকে থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানে একটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ওই গৃহবধূকে উদ্ধারকারী সীমা খাতুন বলেন, ‘ঘটনার সময় শুধু তৌহিদ, সুমন না স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।’

এ বিষয়ে খোকসা থানার ওসি কাজী দাউদ হোসেন বলেন, “ওই নারী আগে কোনো অভিযোগ করেননি। এলাকার এক গণ্ডগোলের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমন ও তৌহিদকে থানা ডাকা হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

“তবে সোমবার ওই গৃহবধূর উপর নির্যাতনের ঘটনায় তৌহিদ ও সুমনসহ ৮ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।”