মঙ্গলবার রংপুর জেলা ও দায়রা জজ মঞ্জুরুল বাসিত এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন এই জামিন মঞ্জুর করেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল মালেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিপ্লবের আইনজীবী একরামুল হক জামিনের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়।
ওই মামলায় জেএমবির তিন সদস্যসহ সাত আসামি এখনও রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন বলে জানান পিপি মালেক।
এ হত্যাকাণ্ডে কাউনিয়া থানার ওসি বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
ওই রাতেই কুনিওর ব্যবসায়িক সহযোগী হুমায়ুন কবীর হীরা, রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ উন নবী খান বিপ্লবকে আটকের পর এ মামলায় আসামি দেখানো হয়। পরে হীরাকে তিনদফায় ২৫ দিন এবং বিপ্লবকে ১০ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এছাড়া রংপুর মহানগর যুবদল নেতা রাজিব হাসান সুমন ওরফে মেরিল সুমন, নওশাদ হোসেন রুবেল ওরফে ব্ল্যাক রুবেল এবং যুবলীগ নেতা কাজল চন্দ্র বর্মন ওরফে ভরসা কাজলকেও অস্ত্রসহ আটকের পর ওই মামলায় আসামি দেখিয়ে ১০ দিনের রিমাণ্ডে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে জেএমবির রংপুরের পীরগাছা-কাউনিয়া অঞ্চলের কমাণ্ডার মাসুদ রানা, পীরগাছা ইউনিটের কমাণ্ডার খয়বর হোসেন ও এহসার সদস্য ইসাহাক আলীকেও গ্রেপ্তারের পর কুনিও হত্যা মামলায় আসামি করা হয়।
জেএমবির এই তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর গত বছরের ৮ ডিসেম্বর পুলিশের রংপুর রেঞ্জর ডিআইজি হুমায়ুন কবীর তার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে জেএমবির আঞ্চলিক কমাণ্ডার মাসুদ রানার জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে ডিআইজি হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের জানান, গত ৩ অক্টোবর সকালে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে কুনিও হোশিকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি করেন মাসুদ রানা। গুলি করার পর মোটরসাইকেলে করে তারা পালিয়ে যান।