রেনিন সু’র বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৪ এপ্রিল

মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির কথিত শীর্ষ নেতা রেনিন সু’র বিরুদ্ধে একটি মামলায় আগামী ৪ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে।

রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2016, 10:32 AM
Updated : 18 Feb 2016, 10:44 AM

রাঙামাটির মুখ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সামসুদ্দিন খালেদ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। 

আসামির আইনজীবী উথোয়াই মং মারমা জানান, দুপুরে রেনিন সু ও তার সহযোগী অংনু ইয়ান রাখাইনকে আদালতে হাজির করা হয়।

“বিদেশি নাগরিক আইনে করা ওই মামলায় আগামী ৪ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির দিন রাখা হয়।”  

পরে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয় বলে জানান আসামির আইনজীবী।  

গত বছরের ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাঙামাটির ইসলামপুর এলাকার একটি নির্মাণাধীন মসজিদ থেকে রেনিন সু’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওই সময় ৪১ হাজার ১২০ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের ছয়টি ক্রেডিট কার্ড, নেদারল্যান্ডসের একটি পাসপোর্ট, একটি ল্যাপটপ ও একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।

চিকিৎসা শাস্ত্রের ডিগ্রিধারী রেনিন সু এক সময় নেদারল্যান্ডসে কাটিয়েছেন।

গত কয়েক বছর ধরে তিনি রাঙামাটির রাজস্থলীতে বাড়ি করে স্থানীয় এক মার্মা তরুণীকে বিয়ে করে রাঙামাটিতেই থাকছিলেন।

সেখান থেকেই তিনি আরাকান আর্মির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন বলে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা।

এর আগে ২৪ অগাস্ট বান্দরবানের থানচির সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবির একটি যৌথ টহল দলের উপর আরাকান আর্মির হামলা ও গোলাগুলির পর রাজস্থলীতে রেনিন সু’র খোঁজ পায় পুলিশ।

দুদিন পর রাজস্থলীর কলেজ পাড়ায় অবস্থিত রেনিন সুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে পাওয়া না গেলেও তার সহযোগী অং ওয়েন রাখাইন আটক হন।

ওইদিন সেখানে আরাকান আর্মির তিনটি পোশাক, ওই পোশাক তৈরির ৩০ গজ কাপড়, তিনটি ল্যাপটপ, তিনটি ক্যামেরা ও দুটি ঘোড়াও পাওয়া যায়।

এর আগে ২৮ অগাস্ট ওই বাড়ির দুই কেয়ারটেকার মংচু অং মারমা ও চুইস অং মারমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারাও বর্তমানে কারাগারে আছেন।

এ ঘটনায় রেনিনসহ ওই চার জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইন, বিদেশি নাগরিক আইন ও মুদ্রা পাচার আইনে রাজস্থলী থানায় তিনটি মামলা করা হয়।