মহেশখালীতে আ. লীগের টিকিট চান ‘বিএনপি’ নেতা

কক্সবাজারের ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক বিএনপি নেতা নৌকার টিকিট পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2016, 11:07 AM
Updated : 16 Feb 2016, 11:48 AM

একই ইউনিয়নে মনোনয়ন চান সদ্য জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া এক নেতাও।

এছাড়া কালারমারছড়া ইউনিয়নে মনোনয়ন আওয়ামী লীগের চেয়েছেন এক বিএনপি নেতার স্ত্রী।

তবে সবকটি ইউনিয়নে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে একক প্রার্থী দেওয়ার কাজ চলছে বলে জেলার আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।

সরেজমিনে জানা গেছে, ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে নছির উল্লাহ খান, শাহরিয়ার চৌধূরী, ফরিদুল আলম ও আব্দুস সামাদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন। এদের মধ্যে নছির উল্লাহ খান ও শাহরিয়ার ছাড়া অন্য দুইজনের একজন সাবেক জামায়াত নেতা এবং আরেকজন বিএনপি নেতা।

এছাড়া কালারমারছড়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান, যুবলীগ নেতা মুজিবুল্লাহ বাদলের হত্যা মামলার আসামি নুরুল হকের স্ত্রী শাকিলা বেগম। নুরুল হক ওই ইউনিয়নের বিএনপি নেতা।

ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সদস্য লিয়াকত আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফরিদুল ইসলাম কয়েকমাস আগে জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। আর আব্দুস সামাদ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা।

“অথচ এলাকাবাসীর সামনে তারা নৌকার টিকিট চান।”

এ ধরনের ‘সুযোগ সন্ধানীদের’ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না দেওয়া দাবি জানান তিনি।

সোমবার কক্সবাজারে জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় যোগ দিতে এসেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

বিএনপি বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে কেন মনোনয়ন চাইছেন তা জানতে চাইলে আব্দুস সামাদ কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি।

মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা জানান,  মহেশখালী উপজেলার ৭ ইউনিয়নের জন্য আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী দেওয়া হবে। একক প্রার্থী নির্ধারণে কয়েকদিন ধরে কাজ চলছে।

“বিএনপি-জামায়াত নেতাদের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়ার খবর আমরাও শুনেছি। এ ব্যাপারে আমরা সর্তক রয়েছি।” 

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, কোনো মনোনয়ন প্রত্যাশীর সঙ্গে জামায়াত-বিএনপির সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের মনোনয়নের জন্য নির্বাচিত করা হবে না।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা বলেন, “অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী থেকে কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক যোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

“আমরা আশা করি কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী বলে কোনো কিছু আওয়ামী লীগে হবে না। আমরা সেভাবে কাজ করছি। একক প্রার্থী নিশ্চিত করে আমরা জয় ছিনিয়ে আনব।”

এরপরও কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে কক্সবাজারের মহেশখালী, টেকনাফ ও কুতুবদিয়া উপজেলার ১৯ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী মার্চে।  

এর মধ্যে রয়েছে মহেশখালীর ৭টি, টেকনাফ ও কুতুবদিয়া উপজেলার ৬টি করে ইউনিয়ন।