নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 08 Feb 2016, 12:04 PM
৭ খুনের মামলায় ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
৭ খুন: অভিযোগপত্র গ্রহণ, পলাতকদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা
সাত খুনের দেড় বছর পর নূর হোসেন কারাগারে
সোমবার জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন ৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় শুনানি শুরু হয়। আদালতে ২৩ আসামি উপস্থিত ছিলেন বলে জানান জেলার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কেএম ফজলুর রহমান।
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ১১ জানুয়ারি ও ২৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। অসুস্থতার কারণে এক আসামিকে আদালতে হাজির না করায় অভিযোগ গঠন পেছানো হয় প্রথমবার।
ওই দুটি মামলার তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
কিন্তু অভিযোগপত্র থেকে পাঁচ আসামিকে বাদ দেওয়ায় এবং প্রধান আসামি নূর হোসেনের জবানবন্দি ছাড়া অভিযোগপত্র আদালত আমলে নেওয়ায় ‘নারাজি’ আবেদন করেন সেলিনা ইসলাম বিউটি।
আবেদনটি বিচারিক হাকিম আদালত ও জজ আদালতে খারিজ হয়ে গেলে বিউটি উচ্চ আদালতে যান। হাই কোর্টের আদেশে বলা হয়, পুলিশ চাইলে মামলাটির ‘অধিকতর তদন্ত’ করতে পারে এবং ‘হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার’ ধারা যুক্ত করে নতুন করে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারে।
এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন।
নূর হোসেন ছাড়া বাকিরা হলেন- সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, এম এম রানা ও আরিফ হোসেন, র্যাব সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, এএসআই বজলুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক ও নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন ও বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন, সিপাহী আবু তৈয়ব, নুরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।
এছাড়া নূর হোসেনের আরেক সহযোগী বন্দর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার সেলিম ভারতের কারাগারে আটক রয়েছেন।