বুধবার সকালে সেগুলো সেনা অর্ডন্যান্স ডিপোতে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে জানান নালিতাবাড়ী থানার এসআই আরিফ হোসাইন।
মঙ্গলবার রাতে ওই অস্ত্র ও গোলাবারুদ ঢাকায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার ভোরে নালিতাবাড়ির ভুরুঙ্গা কালাপানি এলাকায় র্যাব-৫ অভিযান শুরু করে। ওইদিন সেখানে বিভিন্ন ভারী অস্ত্রসহ ৪৮ হাজার ২৫৭টি বিভিন্ন অস্ত্রের গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। পরদিন মঙ্গলবারও অভিযান চলে, তবে সেদিন কোনো অস্ত্র বা গোলাবারুদ উদ্ধার হয়নি।
“তাই জব্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবরুদ্দের কিছু নমুনা থানায় জমা রেখে বাকিগুলো সেনা অর্ডন্যান্স ডিপোতে জমা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরের একটি আদালতে আবেদন করা হয়।
“বিকালে শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারকি হাকিম ওই অস্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করেন।”
এসআই আরিফ জানান, অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার পর মঙ্গলবার রাতেই আদালতের আদেশ মোতাবেক গোলাবারুদ, অস্ত্র ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে র্যাব-৫ এর একটি দল ঢাকার উদ্দেশ্যে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ত্যাগ করে।
তাদের সঙ্গে তিনি নিজেও (আরিফ) ঢাকা যান বলে জানান আরিফ।
আরিফ আরও বলেন, গোলাবারুদ ও অস্ত্র সেনা অর্ডন্যান্স ডিপোতে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দাপ্তারিক কাজ সম্পন্ন করতে সন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে।
উদ্ধার অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে রয়েছে মেশিনগান ২টি, মেশিনগানের স্পেয়ার ব্যারেল ৫টি, স্নাইপার রাইফেল (টার্গেট সাইটসহ) ২টি, এসএমজি ১টি, এন্টি-এয়ারক্রাফ্ট গান বেইজ ১টি, এন্টি-এয়ারক্রাফ্ট গানের স্পেয়ার ব্যারেল ২টি, স্পেয়ার টার্গেট সাইট ১টি, পিস্তল ২টি, এসএমজির গুলি ১৭ হাজার, এমজি গুলি ২২ হাজার, ১২.৭ এন্টি-এয়ারক্রাফ্টের গুলি ২ হাজার, পিস্তলের গুলি ৫০০ রাউন্ড, এমজি ড্রাম ২০টি, এএসি ড্রাম ৪টি, ম্যাগজিন, ওয়াকিটকি, বন্দুক পরিষ্কারের যন্ত্র, ওয়্যারলেস চার্জারসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম।
এসব অস্ত্র ও গুলি কারা সেখানে রেখেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য এখনও জানা যায়নি।
এর আগে, ২০১০ সালে ঝিনাইগাতির বাকাঁকুড়া গুচ্ছগ্রাম থেকে ১৩ হাজার রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়।
২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ৫০ হাজার গুলি, রকেট, মাইন ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়। ২০১২ সালে নালিতাবাড়ির এক গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় একে-৪৭ রাইফেল ও গুলি।