কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও কোনো প্রতিকার হয়নি বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোর।
তবে কয়েকটি বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
সরেজমিনে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের মাদ্রা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২০১০ সালে এমপিওভুক্ত হলেও শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে টিনের তৈরি শ্রেণিকক্ষে।
এছাড়া এ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় মাঠে ক্লাস করতে হয়।
মাদ্রা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী ওবায়দুর রহমান এবং খোয়াজপুর-টেকেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার হোসেনের অভিযোগ, শ্রেণিকক্ষ সংকটের বিষয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর আশ্বাস মিললেও সমাধান হয়নি।
ঘটকচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেজবাহউদ্দিন ঢালী বলেন, “আমাদের বিদ্যালয়টির একতলা ভবনটি পুরনো হয়ে যাওয়ার কারণে ছাদ দিয়ে বৃষ্টির সময় পানি পড়ে। আবার কখনও কখনও ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে।”
এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে মাঠে ক্লাস নিতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মাদারীপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, জেলার ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৮টি মাদ্রাসার শ্রেণি সংকট নিরসনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যেই এ কাজ সমাপ্ত হবে।