রোববার দপুরে নগরীর কাচারী বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এই হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা দেন দলের মহানগর আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
দুপুরে ইয়াসিরকে দেখতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদও হরতাল পালনের আহ্বান জানান রংপুরবাসীকে।
এ সময় তিনি বলেন, দিনে দুপুরে মানুষকে কুপিয়ে হত্যা, মানুষের উপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না।
“আমি এ হরতালের সর্মর্থন করি। আপনারা এ হরতাল পালন করুন।”
কাচারী বাজারের সমাবেশে মোস্তাফিজার রহমান বলেন, শুক্রবার জুম্মার নাজাজ শেষে নগরীর মুন্সিপাড়া গোরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করে এস এম ইয়াসিরকে।
“ইয়াসির বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”
এখনও পুলিশ কোনো দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার বা শনাক্ত করতে না পারাটা পুলিশের ব্যর্থতা বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বৃহস্পতিবারে সর্বাত্মক সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের জন্য রংপুরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ নুর আহমেদ টুলু, জেলা আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন মাষ্টার, জাপা নেতা সামসুল আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আ স ম বরকতুল্লাহ জানান, ইয়াসিরের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। মাথার কয়েকটি হাড় ভেঙ্গে গেছে। তিনি আশঙ্কামুক্ত নন বলেই তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে রাখা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, এখনও থানায় মামলা হয়নি। তবে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।