আ. লীগ আমলে একটিও জাল ভোট পড়েনি: আশরাফ

আওয়ামী লীগ সরকার আমলে গত সাত বছরে দেশের কোনো পর্যায়ের নির্বাচনেই একটিও জাল ভোট পড়েনি বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2016, 07:07 PM
Updated : 16 Jan 2016, 07:07 PM

শনিবার নিজের জেলা কিশোরগঞ্জে দলীয় এক কর্মী সমাবেশে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ কখনও ভোট কারচুপি ও ডাকাতির মাধ্যমে জয়লাভের স্বপ্ন দেখে না। কোনো পর্যায়ের নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ আমলে একটিও জাল ভোট পড়েনি।”

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক ব্যবধানে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট। মেয়াদ শেষে পাঁচ বছর পর বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে তারা।

দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও এরপরে অনুষ্ঠিত উপজেলা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশন ভোটে প্রার্থীদের সমর্থন দেয় তারা। সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত পৌরসভা ভোটে প্রার্থী দেয় বিএনপি।

গত বছর ২৮ এপ্রিল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে ভোটের মাঝপথে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বিএনপির প্রার্থীরা। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা।

তবে পৌরভোটে বিএনপি শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে থাকলেও ১৭৭ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়ের বিপরীতে বিএনপির প্রার্থীরা ২২টিতে জয় পান।

স্থানীয় সরকারের এই ভোটে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে বিএনপির।

তবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, “আন্দোলন, নির্বাচন ও উন্নয়নের ধারাবাহিক সাফল্যের কারণেই ভোটাররা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছে।”

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ র্নিবাচনও দলীয় প্রতীকে হতে পারে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনের মতো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

“এটি একটি নতুন ধারার রাজনীতি। আশা করি, দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ফলে গণতন্ত্রকে সত্যিকার অর্থে তৃণমূল পর্যায়ে নেওয়া সম্ভব হবে।”

জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ওই কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “কেন্দ্র বা জেলা কমিটি নয়, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করবে। দলের নেতা-কর্মীদেরকে এখন থেকে জয়ের জন্য কাজ করতে হবে।”

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল আহসান শাহজাহানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য দিলারা বেগম আসমা, জেলা পরিষদ প্রশাসক জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল ও নবনির্বাচিত পৌর মেয়র পারভেজ মিয়া বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সকালে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন সৈয়দ আশরাফ।