আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি মো. আব্দুর সাত্তার জানান, বুধবার বেলা ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্টেশন মাস্টার মহিদুর রহমান বাদী হয়ে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১২ শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ফিসপ্লেট খুলে লাইন উপড়ে ফেলে। এ সময় তারা স্টেশন মাস্টারকেও মারধর করে।
“এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্টেশন মাস্টার মো. মহিদুর রহমান মামলা করেছেন। মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. সালাউদ্দিনকে।”
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, সোমবার বিকালে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্র মোবাইল ফোনসেট কেনার জন্য জেলা পরিষদ মার্কেটে গেলে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাকে চড় মেরেছিলেন এক দোকানি।
এ খবর পেয়ে ওই মাদ্রাসার অর্ধশতাধিক ছাত্র দোকানটি ভাঙচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে শুরু হয় সংঘর্ষ। ওই সংঘর্ষে আহত মাদ্রাসাছাত্র মাসুদুর রহমান মঙ্গলবার ভোরে মারা যান।
এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরজুড়ে তাণ্ডব চালায় মাদ্রাসাছাত্ররা।
এই তাণ্ডবে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ও ভাংচুর হয়েছে। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন ভাংচুরের পাশাপাশি সুর সম্রাটের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রও পুড়িয়ে দেয় মাদ্রাসার ছাত্ররা।
ভাংচুরের মধ্যে পড়েছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের ব্যাংক এশিয়া, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রও।
রেল স্টেশন ভাংচুর এবং লাইন থেকে স্লিপার তুলে নেওয়ায় ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের ট্রেন চলাচল সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকে।