বুধবার সকাল থেকেই শহরে সব ধরনের যানবাহন চলছে। দোকান, বিপণী বিতানসহ সব অফিস আদালতে স্বাভাবিকভাবে কাজ চলছে।
সোমবার মাসুদুর রহমান নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় ছাত্ররা।
ছাত্ররা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ছাড়াও ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন ভাংচুর এবং সুর সম্রাটের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রও পুড়িয়ে দেয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের ব্যাংক এশিয়া, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রেও ভাংচুর চালানো হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি নামানোর পর দুপুর পর্যন্ত শান্ত থাকলেও বিকালে সদর হাসপাতালে হামলা চালায় মাদ্রাসাছাত্ররা।
বিক্ষুব্ধরা রেল স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং রেল লাইনের ওপর আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ ও স্লিপার তুলে ফেললে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট পথে ট্রেন চলাচল সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকে।
তবে মঙ্গলবারের সহিংসতার ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মফিজুল ইসলাম।
“কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ নিয়ে আসলে মামলা নেওয়া হবে,” বলেন তিনি।
সোমবার বিকালে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্র মোবাইল ফোনসেট কেনার জন্য জেলা পরিষদ মার্কেটে যান। সেখানে দাম নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে একপর্যায়ে দোকানি ওই ছাত্রকে চড় মারেন। এ খবর পেয়ে ওই মাদ্রাসার অর্ধশতাধিক ছাত্র দোকানটি ভাংচুর করে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ছাত্রদের সঙ্গে শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষের সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ৩০-৩৫টি হাতবোমা ফাটানো হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ রবার বুলেট ও কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে।
ওই সংঘর্ষে আহত মাদ্রাসাছাত্র মাসুদ মঙ্গলবার ভোরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি পৌর শহরের ভাদুঘর এলাকার হাফেজ ইলিয়াস মিয়ার ছেলে।