সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় উপজেলার হরকলি ঠাকুরটারী এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পিকআপটি অগ্নিসংযোগ করে আড়াই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানি।
নিহতরা হলেন উপজেলার সলেয়া শাহ গ্রামের জেসমিন আক্তার (৩৫), তার মেয়ে আনার কলি (৫) ও একই গ্রামের সফু উদ্দিন (৭০), তারাগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আলিমুদ্দিন (৬৫) ও গঙ্গাচড়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের ধনঞ্জয় রায় (৩৩)।
ওসি সাংবাদিকদের বলেন, জেসমিন ও আনারকলি ঘটনাস্থলে, সফু উদ্দিন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। আর আলিমুদ্দিন ও ধনঞ্জয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আহত দুজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রংপুর কারাগারের ডেপুটি জেলার সোহরাব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “পিকআপটি রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট ও জেলারকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে যাত্রীবাহী ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়।”
অবরোধ করে রাখায় ঘটনার পর থেকে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে জনতাকে শান্ত করলে তারা অবরোধ তুলে নেয় বলে জানান ওসি।