বই নিতে টাকা: মিডিয়ায় কথা বলায় শিক্ষার্থীকে ‘মারধর’

রাজশাহীর পবা উপজেলায় বই নিতে গিয়ে শিক্ষকদের টাকা দেওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানানোয় এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছ।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2016, 07:10 PM
Updated : 10 Jan 2016, 07:10 PM

পবার মতিয়া বিল উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিশির আহমেদকে সহকারী শিক্ষক একরামুল হক রোববার দুপুরে পিটিয়ে আহত করেন বলে অভিযোগ করেছেন শিশিরের বাবা আসাদ আলী।

আসাদ অভিযোগ করে বলেন, গত ১ ও ২ জানুয়ারি ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বই দেওয়ার সময় সাড়ে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হয়। যারা টাকা দেয়নি তাদের এখনও বই দেওয়া হয়নি।

“ফলে বাধ্য হয়ে গত বৃহস্পতিবার সাড়ে ৩০০ টাকা দিয়ে ছেলের জন্য বই নিই। তবে রশিদ দেওয়া হয় ভর্তি ফি হিসেবে দেড়শ টাকার। বাকি ২০০ টাকা বইয়ের জন্য নেওয়া হয়েছে বলে স্কুল থেকে জানানো হয়।”

আসাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টাকা নিয়ে বই দেওয়ার খবর পেয়ে ক্যামেরা নিয়ে  স্কুলে এসেছিলেন সময় টিভির প্রতিবেদক। এ সময় শিক্ষকরা ক্লাসে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে শিক্ষার্থীদের নিষেধ করে দেয়।”

“কিন্তু শিশির ও আমি বই বিতরণের সময় টাকা নেওয়ার কথা টিভির ক্যামেরার সামনে বলে দিই। এতে ক্ষুব্ধ হন শিক্ষকরা। সাংবাদিকরা চলে যাওয়ার পরপরই শিশিরকে শিক্ষকদের কক্ষে ডেকে নিয়ে কিল-ঘুষি মারেন শিক্ষক একরামুল। এতে শিশিরের নাক কেটে রক্ত বের হয়।” অভিযোগ আসাদ আলীর।

পরে শিশিরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান দুই দিনের ছুটিতে আছেন জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে থাকলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টাকা নিয়ে বই দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “বই বিতরণের জন্য টাকা নেওয়া হয়নি। ভর্তি ফি ও সেশন ফি বাবদ সাড়ে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।”

পবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুক্তাদির আলম বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। সোমবার বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। বই বিতরণের সময় অর্থ আদায় ও শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সত্যতা পাওয়া গেলে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম হোসেন বলেন, “বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাক লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”