জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শক্কুর আলী জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে এ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ৯ ডিসেম্বর রাণীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেয়।
সীমানা নির্ধারণ ও তা গেজেট আকারে প্রকাশ ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শরীফুল ইসলাম ওই রিট আবেদন করেন।
নির্বাচনের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। সীমানা নির্ধারণ ও তা গেজেট আকারে প্রকাশ ছাড়াই তফসিল ঘোষণা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও দেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাই কোর্টের আদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে রাণীশংকৈলে ভোট স্থগিতের কথা সোমবার জানানো হয়েছে বলে শক্কুর আলী জানান।
নির্বাচন হচ্ছে না-এ খবর বিকেলে ছড়িয়ে পড়লে রানীশংকৈল পৌরসভার প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করে দেন।
ভোট স্থগিতের খবর শুনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আলমগীর সরকার বলেন, “জামায়াতে ইসলামী আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারায় তারা কৌশলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
“অন্যদিকে জামায়াত নেতা নির্বাচনকে বানচাল করতেই আইনের এমন সুবিধা গ্রহণ করেছে।”
বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট হতে যাচ্ছে দলের মনোনয়নে, দলের মার্কায়। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রেখে নির্বাচন কমিশন ২৩৬টি পৌরসভার জন্য তফসিল দিলেও ইতোমধ্যে বাগেরহাটের মংলার ভোট আদালতের আদেশের স্থগিত হয়েছে।